
বাস, ট্রেন ও লঞ্চে ভোগান্তি ছাড়াই পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি ফিরছেন রাজধানীবাসী। আজ শনিবার ভোর থেকেই বাস, ট্রেনে দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। তবে গতকাল শুক্রবারের তুলনায় কিছুটা কম বলছে পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে, ছুটি দীর্ঘ হওয়াতে মানুষ ধাপে ধাপে ঢাকা ছাড়ছে। এতে এবার ঈদযাত্রা বেশ স্বস্তিদায়ক হয়েছে। আবার বাস টার্মিনালগুলোয়ও টিকিট পেতে হয়নি তেমন কোনো ভোগান্তি। এদিকে কমলাপুর রেল স্টেশনে ভিড় থাকলেও সূচি মেনে ছেড়ে যাচ্ছে বেশির ভাগ ট্রেন। এতে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে দেখা যায়, প্রতিবছরের মতো এবার নেই যানজট। স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে যানবাহন। এতে স্বস্তি নিয়ে যাতায়াত করছেন যাত্রী ও চালকেরা।
যমুনা সেতু সাইট অফিসার নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশ ৯টি করে মাট ১৮ বুথ দিয় যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এছাড়া দুই পাশেই মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা ২টি করে বুথ রয়েছে। এতে নির্বিঘ্ন মানুষ যাতায়াত করতে পারছে।
অন্যদিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হয়ে বাড়ি ফিরছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি, লঞ্চ ও মহাসড়কে যানজট না থাকায় সহজেই ঘাট পার হচ্ছে যাত্রীরা।
এদিকে পদ্মা সেতুতে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়া ঈদযাত্রায় বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
পদ্মা সেতু সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়াদ জানান, টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয় শুক্রবার থেকে। ঈদের ছুটিতে শুক্রবার ভোর থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ হিসেবে খ্যাত ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দূর পাল্লার যানবাহনের চাপ বাড়ে। তবে শনিবার ভোর থেকে ওই মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কমে এসেছে। স্বজনদের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ওই মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়েও ছুটছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। তবে আধুনিক এই মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজট বা বিড়ম্বনা নেই।
Comments