Image description

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (হাই স্কুল) এক প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার পর তিনি আবার বিদ্যালয়ে যাওয়ায় হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা ওই শিক্ষককে মারধরের পর তার পরনের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ওই শিক্ষকের নাম ইউনুস নবী।

ইউনুস নবী জানান, তিনি দীর্ঘ ১১ বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ২৪ অক্টোবর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুক্তার হোসেনের নেতৃত্বে একদল লোক তার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর আদায় করে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনার কারণে পদত্যাগপত্রটি গৃহীত হয়নি। তবে ওই ঘটনার পর থেকে মান সম্মানের ভয়ে তিনি বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন না। ঘটনার পর সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেন তার পছন্দের একজনকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন। 

ইউনুস নবী আরও জানান, এ ঘটনায় তিনি বেগমগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত চলতি বছরের ২০ মে পর্যন্ত ওই পদত্যাগপত্রের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আজ সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ে যান। এ সময় তিনি অফিসকক্ষে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসেন। বেলা ১২টার দিকে সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেনের ছোট ভাই একরাম হোসেনসহ একদল লোক অফিসকক্ষে ঢুকে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার পরনের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের দেয়।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুক্তার হোসেন বলেন, ‘ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় তার ওই অনিয়ম ধরা পড়েছে। যার দরুন তাকে পদত্যাগ করতে বলা হলে তিনি পদত্যাগ করেন। তবে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা কিংবা তার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

বিদ্যালয়ের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক তাকে মারধর ও জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলার কথা জানিয়েছেন। এর আগে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আদালতে মামলা করেছেন। আদালত কী রায় দেন, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি পক্ষের করা অভিযোগের তদন্ত চলছে।’