Image description

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যদি বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন বা কর্মবিরতি পালন করেন, তবে তাদের সরকারি কর্মচারী বিধি লঙ্ঘনের দায়ে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। সোমবার সন্ধ্যায় বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার।

উপদেষ্টা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে দাবি আদায়ের চেষ্টা অনৈতিক এবং তাদের ৯ম গ্রেডের দাবিটিও অযৌক্তিক।

শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “চাকরি নেওয়ার সময় তারা জানতেন যে তারা ১০ম গ্রেডে থাকবেন। এটি তাদের চাকরির শর্তের বাইরে। ৯ম গ্রেড সাধারণত বিসিএস (অ্যাডমিন) ক্যাডারদের এন্ট্রি পোস্ট। হুট করে চাইলেই এই গ্রেড দেওয়া সম্ভব নয়, এটি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বিষয়।” তিনি এই দাবিকে ‘অন্যায্য ও অন্যায়’ বলে অভিহিত করেন।

পরীক্ষা চলাকালীন আন্দোলনকে অনভিপ্রেত উল্লেখ করে ড. সি আর আবরার বলেন, “শিক্ষকরা মূলত শিক্ষার্থীদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন, যা চরম অনৈতিক কাজ। বার্ষিক পরীক্ষার সময় এমন কর্মসূচি গ্রহণ করে তারা সরকারি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন।”

সরকার এ বিষয়ে আপসহীন এবং দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামীকাল থেকেই পরীক্ষা নিতে হবে। অন্যথায় সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিধি লঙ্ঘনের দায়ে শাস্তির জন্য আপনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।”

তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে—শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পরীক্ষা দিতে আগ্রহী, কিন্তু শিক্ষকদের একটি অংশ পরীক্ষা নিচ্ছে না। তাই অবিলম্বে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।