Image description

ব্রিটেনে কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে লেবার পার্টি ক্ষমতায় ফিরছে। ৪ জুলাই ২০২৪, ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন হয়ে গেল। বিভিন্ন জরিপ আগে থেকেই বলে আসছিল এবারের নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি হবে এবং লেবার পার্টির জয় হবে। ৪ জুলাই এর নির্বাচনে সত্যিই বিপুলসংখ্যক ভোটের ব্যবধানে লেবার পার্টির বিজয় নিশ্চিত করে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর পদ অলঙ্কৃত করলেন কিয়ার স্টারমার। 

১৯৪৫ সালের পর থেকে যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হলো সাধারণ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেয়ার আগে ফটো আইডি বা শনাক্তকরণ ছবি দেখাতে হয়েছে ভোটারদের। ব্রিটেনে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ হয় পাঁচ বছরের। ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কনজারভেটিভ পার্টি। নিয়ম মাফিক পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অনেকে শরতে নির্বাচন হতে পারে এমন অনুমান করলেও বাস্তবে তা হয়নি। 

ব্রিটেনে ৬৫০টা নির্বাচনী কেন্দ্র বা এলাকায় বিভক্ত। এই প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা একজন সাংসদ নির্বাচন করেন যারা তাদের হয়ে ‘হাউস অব কমন্স’-এ প্রতিনিধিত্ব করেন। নির্বাচনি ময়দানে লড়াই করতে নামা প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশ কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তবে কেউ কেউ আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবেও ভোটে লড়েন। জনমত জরিপ অনুযায়ী ২০২১ সাল থেকে ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তা কমছে। বিবিসির পলিটিক্যাল এডিটর ক্রিস ম্যাসন বলছেন, দলের কিছু রাজনীতিবিদ মনে করেন, পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হবে না এবং ভোটারদের মত প্রকাশের যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাতে নির্বাচন পিছিয়ে দিলে কনজারভেটিভ পার্টির পরাজয় আরও খারাপভাবে হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

এককথায় বলতে গেলে পরিস্থিতি এমন যে, যা করার তা এখনই করতে হবে নয়তো অবস্থা আরও বিরূপ হতে পারে। কেন এখন ভোট হওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী ঋষি সুনাক, সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় তুলে ধরেছেন ক্রিস ম্যাসন। যেমন, মুদ্রাস্ফীতির নিরিখে বর্তমান অবস্থাকে ঋষি সুনাকের সাফল্য হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। তবে এটা যে সরকারের কর্মকাণ্ডের উপর নির্ভর করে এমনটা নয়। কিন্তু সাধারণত মুদ্রাস্ফীতি আকাশছোঁয়া হলে সরকারকেই দোষারোপ করা হয়ে থাকে। তাই আশা করা যেতে পারে যে যখন মুদ্রাস্ফীতির হার কমের দিকে তখন সেই সফলতার ভাগ নেয়ার চেষ্টা কনজারভেটিভ পার্টি করবে এবং তা কিন্তু ইতোমধ্যে হয়েছে। 

একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, বৃহত্তর অর্থনৈতিক চিত্রটাও কিছুটা উজ্জ্বল বলে মনে হচ্ছে। সাম্প্রতিক জনমত জরিপ বলছে নির্বাচনি প্রচারের শুরু থেকেই সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টির থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে ছিলেন। আসলে এই চিত্রটাও কিন্তু গত ১২ মাস ধরে প্রায় একই ছিল। জরিপ অনুযায়ী, লেবার পার্টি ধারাবাহিকভাবে ৪০% এর উপরে জনসমর্থন পেয়ে এসেছে। এখন এমনটা হতেই পারে যে জনমত জরিপ সঠিক নয়। 

ঋষি সুনাকও আশা করবেন নির্বাচনি প্রচার এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতায় থাকাকালীন তার সাম্প্রতিক সাফল্য এবং দলের বিষয়ক সিদ্ধান্ত কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারবে। মুদ্রাস্ফীতির হারে হ্রাস ও তার দলের নীতির উপর মনোনিবেশের মতো ইস্যু নির্বাচনি ময়দানে প্রভাব ফেলবে বলে তিনি আশাবাদী ছিলেন। যদিও বিষয়টা আপাতত যা দাঁড়িয়েছে তাতে লেবার পার্টি উল্লেখযোগ্য লিড নিয়েই তাদের প্রচার শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জরিপ অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত অভিবাসন বিরোধী ডানপন্থি দল রিফর্ম ইউকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

কিন্তু তাদের সমর্থন সারাদেশে সমানভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। ফলে সেই সমর্থনকে সংসদের আসনে পরিণত করা কঠিন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। অন্যদিকে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস- যারা আগে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল ছিল তারা জরিপ অনুযায়ী ভোটের নিরিখে গড়ে প্রায় ১০%-এ মোটামুটি ধারাবাহিকভাবে রয়েছে। তাদের টার্গেট করা আসনে মনোনিবেশ করে আসন্ন নির্বাচনে ভালো ফলের বিষয়ে আশাবাদী লিবারেল ডেমোক্র্যাটস। ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই কিছু আশ্রয়প্রার্থীদের রোয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঋষি সুনাক। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এই নীতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন তিনি। সুনাকের যুক্তি ছিল এই নীতি বাস্তবায়িত হলে তা ছোট ছোট নৌকায় চেপে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে ঢুকে পড়ার ঘটনাকে ঠেকাবে। কিন্তু প্রত্যাশিত সময়ের আগেই সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করার পর সুনাক জানিয়েছিলেন আগামীতে যদি তিনি পুনর্র্নির্বাচিত হন তাহলে শুরু হবে এই প্রকল্প। 

এদিকে, লেবার পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তারা ক্ষমতায় এলে এই পরিকল্পনা বাতিল করা হবে। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে আদৌ কাউকে রোয়ান্ডায় পাঠানো হবে কি না। ইতোমধ্যে রোয়ান্ডা নীতির পেছনে ২৪ কোটি পাউন্ড ব্যয় করা হয়েছে। ছয় সপ্তাহের নির্বাচনি প্রচারে এই নীতিকে ঘিরে যুক্তরাজ্যের দুটো প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে বিভাজন রেখা বেশ স্পষ্ট ছিল। বর্তমানে যে দুই দল সবচেয়ে বেশি ভোট পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে তারা হলো ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টি। ৪৪ বছরের ঋষি সুনাক কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০২২ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন তখন তার বয়স ছিল ৪২। আধুনিক সময়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে কম বয়সের প্রধানমন্ত্রী সুনাক। শুধু তাই নয়, তার হাত ধরেই এই প্রথমবার কোনো ব্রিটিশ-ভারতীয় ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। অন্যদিকে, লেবার পার্টির নেতৃত্বে রয়েছেন স্যার কিয়ার স্টারমার। তার বয়স ৬১ বছর। ২০২০ সালে জেরেমি করবিনের পর দলের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে ‘ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস’-এর প্রধান ছিলেন স্টারমার। পাবলিক প্রসিকিউশনের পরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার জন্য রাজাকে আনুষ্ঠানিকভাবে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সুবাদে সংসদ ভেঙে দেয়া হয়েছে। এর ফলে পদমর্যাদা হারাবেন এমপি বা সাংসদরা। পদে থাকতে চাইলে আবার নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রার্থী হিসাবে তাদের ভোটের প্রচার চালাতে হবে। শতাধিক সাংসদ ইতোমধ্যে আগামী নির্বাচনে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, এই সময় সরকার একটি প্রাক-নির্বাচনী অবস্থায় প্রবেশ করে, যা প্রচার চলাকালীন মন্ত্রী ও বিভাগীয় কার্যকলাপকে সীমাবদ্ধ করে দেয়। যুক্তরাজ্যের সানডে টাইমস পত্রিকা সরাসরি লেবার পার্টিকে তাদের সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে। পত্রিকায় এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ১৪ বছর কনজারভেটিভ শাসনের পর দেশে একটি আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। এছাড়াও দেশটির অন্যতম প্রধান পত্রিকা ডেইলি মিরর, দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য ইকোনমিস্ট লেবার পার্টিকে সমর্থন দিয়েছে। তবে, ডেইলি মেইল ও ডেইলি টেলিগ্রাফ কনজারভেটিভদের পক্ষে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। যদিও এই নির্বাচনে ছোট-বড় প্রায় ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। হাউস অব কমন্সের ৬৫০ আসনের বিপরীতে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার রেকর্ডসংখ্যক ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে শামিল হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে কোনো আসনে পাঁচজনের কম প্রার্থী নেই। এছাড়া একটি আসনে সর্বোচ্চ ১৩ জন প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনে ৩১৭টি আসনে মোট ৪৫৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। ৩৫টি দল থেকে ১ জন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যদিও ব্রেক্সিট ভোটের সময় থেকেই টালমাটাল চলছে ব্রিটেনে। 
ইউরোজোনের আর্থিক মন্দা ব্রিটেনের বাজারে বিরূপ প্রকোপ ফেলে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এসেও দেখা যায় সেই মন্দার ঢেউ থেকে বাঁচবার পরিপক্ব উপায় নেই ব্রিটেনের কাছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করে জানান ব্রেক্সিট তিনি সামলাতে পারবেন না। ব্রেক্সিট সামলানোর দায়িত্ব পরে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র কাঁধে। অর্থনৈতিকভাবে সফল ও কৌশলগত ব্রেক্সিট নিয়মাবলি কার্যকরী করতে ব্যর্থ হন মে। আসরে নামেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। 

সাধারণ নির্বাচনে বিরোধী লেবার দলের থেকে ৮০টি আসন সেবার বেশি পেয়েছিল জনসনের কনজারভেটিভ। সেই সরকারে বাঁধ সাধলো কোভিড। কোভিডকালে নিয়ম লঙ্ঘন করে বাসভবন ও সংসদ চত্বরে পার্টি করার স্ক্যান্ডালে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন জনসন। তার ক্যাবিনেটে অর্থসচিব বা চ্যান্সেলর সুনাক কিন্তু কোভিডকালে অর্থনৈতিক ছাড় ও ব্যবসায়িক সুবিধার মাধ্যমে ব্রিটিশ ইকোনমির চাকা সচল রাখেন। জনসন পরবর্তী সময় সর্বকালের স্বল্প মেয়াদকালের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ব্রিটেনের হাল ধরেন। দেখা যায় ফ্রিজে রাখা লেটুস পাতা সরকারের চেয়ে বেশিদিন টিকে গেছে। ঠিক এই কারণেই ব্রিটেনের রাজনৈতিক সাংবাদিকতার মহলে ঋষি সুনাককে পরিত্রাতা ও পরিস্থিতির শিকার বলে উল্লেখ করা হয়। বিশ্লেষকরা বলেন, কনজারভেটিভ দলের নামজাদা খেলোয়াড়রা কেউ কেন সামনে আসছে না দলের এই দুর্দিনে? ডেভিড ক্যামেরন বিদেশ সচিব হয়ে ফিরে এসেছেন। আপাতত তার একমাত্র অ্যাচিভমেন্ট তিনি লর্ড উপাধি পেয়েছেন। বরিস জনসন পেপারের কলামিস্ট। লিজ ট্রাস আমেরিকার ইনফোটেনমেন্টে মন দিয়েছেন। টেরেসা মে মাঝে মধ্যে টিভিতে মন্তব্য করেন। কেউই কিন্তু দলের উদ্ধারে এগিয়ে আসেননি। পার্টির হাল ধরেছিলেন ঋষি সুনাক। 

কিন্তু এবারের নির্বাচনে তার শোচনীয় পরাজয় মেনে নেয়া কষ্টকর হলেও বাস্তবতা মেনে নিতেই হবে। কারণ একমাস আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্তিম দিন ডি-ডে উদযাপনে তিনি নরম্যান্ডি না গিয়ে টিভিতে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন। ব্রিটিশ অহং এর সূক্ষ্ম জায়গা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জয়। আর সুনাকের কেন্দ্রতে বেশিরভাগ পরিবার সেনার সঙ্গে যুক্ত। যাদের এক বা দুই প্রজন্ম যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে। সেখানে ডি-ডে উদযাপন মিস করা আর বসে নিজের ডাল কাটা একই জিনিস। তেমনই অক্টোবর-নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচন ঘোষিত হলে মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা হ্রাস থাকতো। সে ক্ষেত্রে পাবলিক সেন্টিমেন্ট কিছুটা হলেও সরকারের দিকে যেত। কিন্তু তা না করে সুনাক হঠাৎ করেই জুলাইয়ে নির্বাচন ঘোষণা করলেন। কানাঘুষো খবর, ইংলিশ চ্যানেলের তীরে এতো অভিবাসী বোঝাই নৌকা ভিড়ছিল যে পরিযায়ী ইস্যুতে সুনাক আর ঝুঁকি নিতে চাননি। এর পর নির্বাচনের দিনকে কেন্দ্র করে জুয়া ও বাজি ধরার অভিযোগ ওঠে টোরি সাংসদদের উপর। এবং তা প্রমাণিত। 

কাজেই বিশেষজ্ঞদের মতে, দলের অন্দরেই অন্তর্ঘাতের স্পষ্ট ছাপ। যা সুনাকের জন্য মোটেও সুখের খবর ছিল না। কিন্তু কোনো বিষয়ে লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার ইতিহাস কিয়ার স্টারমারের আছে। ব্রিটেনের স্বার্থে, নিজ দলের স্বার্থে ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেনের অস্থির মতাদর্শিক সময়ে এমনভাবে কাজ করে যাওয়া তার জন্য জরুরিও। সরকারি কর্মকাণ্ড পরিচালনার পরিকল্পনা ব্যবস্থার পুনর্গঠন, ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার, স্থানীয় সরকারের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, রাষ্ট্রীয় কোষাগার বৃদ্ধি এবং করব্যবস্থা যুক্তিযুক্ত করতে সফল হয় লেবার সরকার তাহলেই ইতিহাসের পাতায় কিয়ার স্টারমারের নাম উজ্জ্বল হয়ে থাকবে এবং ব্রিটেনও আরও ভালো হবে। কিয়ার স্টারমার ও তার দল সেই সুযোগ পেয়েছেন। এখন দেখার বিষয় ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার কিভাবে ব্রিটেনকে এগিয়ে নিয়ে যান। যদিও তার সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তার পরও বলতে হচ্ছে; বিদায় ঋষি সুনাক স্বাগতম কিয়ার স্টারমার। 

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি