Image description

বিএনপি-জামায়াত সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে সকল উন্নয়নকে টেনে ধরার জন্য একটি মীমাংসিত বিষয়কে (সেটেল ইস্যু) কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা বলেছে লুটপাট অগ্নিসংযোগ নৈরাজ্যের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই- এ কথা ক্লিয়ার যে জামাত-বিএনপি ইউনুস গংরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে জড়িত। যাদের লক্ষ্যই হচ্ছে বাংলাদেশ যে আত্মমর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে সেটাকে নামিয়ে দেওয়া। 

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে সম্প্রতি দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ভাঙচুর করা জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ অফিস পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, এক সময় আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি আলফ্রেড কিসিঞ্জার বলা চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ির মত। এই জামায়াত-বিএনপি-ইউনূস গংরা তারই ধারাবাহিকতায় কাজগুলো করে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বানানোর জন্যেই এই অরাজকতা লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করেছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার, মানবতাবিরোধী বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় তারা বাংলাদেশকে জ্বালিয়েছিল। 

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১৪ সালে মেলেনিয়াম গোল বা দারিদ্রতা জয় করে। আর জামায়াত-বিএনপি-ইউনূস গংরা ব্যর্থ হয়ে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে জ্বালিয়ে দিয়েছে। ২০১৫ সালে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে এই স্বাধীনতা বিরোধীরা স্কুল ড্রেস বানিয়ে নিজেরা গায়ে দিয়ে ছাত্র সেজে সেদিন বাংলাদেশ জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ২০১৮ সালে কোটাবিরোধী আন্দোলনে তারা একইভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে কিন্তু সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে সেই কোটা প্রথা বন্ধ করে দিয়েছিল । 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালের সেই ঘটনা আবার পুনরাবৃত্তি করে ছাত্রদেরকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে পুড়িয়ে দেওয়া, ধ্বংস করে দেওয়ার, ঝুড়িবিহীন বা তলাবিহীন করার মহাপরিকল্পনা নিয়েছিল জামায়াত-বিএনপি-ইউনূস গংরা। এই ধ্বংসযোগ্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, এটা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়, এটা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়। সন্ত্রাসী নৈরাজ্যকর এই কর্মকাণ্ডের সাথে জামায়াত-বিএনপি এবং ইউনুস গংরা সরাসরি জড়িত। 

দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরদের একত্রিত হয়ে সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছাতে হবে। সাধারণ মানুষকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এসব দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদ সরকারসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরে নেতা কর্মীরা। পরে প্রতিমন্ত্রী সার্কিট হাউজে জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিশেষ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।