Image description

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার জনরোষে পড়ার ভয়ে জোর করে ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে আছে। এ লক্ষ্যে দেশে কারফিউ দিয়ে রেলসহ সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে। জনগণকে কর্মহীন রেখে অনাহারে দিনাতিপাত করতে বাধ্য করছে। দ্রব্যমূল্য দিন দিন মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে জাতি দ্রুত মুক্তি চায়। এ মূহুর্তে প্রয়োজন রাজনৈতিক সমাধান।

শনিবার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার ক্ষমতা আগলে রাখার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে মসনদ ধরে রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যা-নির্যাতন করেছে। এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সাজানো মামলা দায়ের করে বিরোধী মতের নেতাদের হত্যা, গ্রেপ্তার এবং গুলি করছে। আদালতে উঠানোর আগেই নির্যাতন করে তাদেরকে পঙ্গু করে ফেলা হচ্ছে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগকে দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে আবারো নির্যাতন চালানো হচ্ছে। রিমান্ডের ন্যূনতম আইন মানা হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, গ্রেপ্তারদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে কল্পকাহিনী রচনা করা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি এখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও ব্লক রেড দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আইডি কার্ড দেখামাত্রই গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের গুম করে কীভাবে নির্যাতন করে দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে তা তাদের শরীরের ক্ষতচিহ্ন দেখলেই অনুধাবন করা যাচ্ছে। যোগ করেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে বিপন্ন দেশের মানুষ সরকারের ওপর বিক্ষুব্ধ হয়েছে। জনগণ সুযোগ পেলেই মাঠে নেমে আসে এবং সরকারের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানায়। জনগণ বারবার সরকারকে বার্তা দিয়েছে পদত্যাগ করার।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেছেন, হেলিকপ্টারে থেকে গুলি করা হয় নাই। যদি তাই হয় তাহলে জানালা ধরে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু সামিরসহ বিভিন্ন ভবনের ছাদে অসংখ্য শিশু-কিশোর কীভাবে নিহত হলো? এই প্রশ্ন দেশবাসীর।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে  মির্জা ফখরুল  বলেন, সকল হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। ছাত্রদের গুলি করে পঙ্গু করে দেয়ার পর হাসপাতালে দেখতে যাওয়া ও মায়া কান্না এবং সাহায্য করবার কথা বলা প্রতারণার আরেকটি নজির।

মানবকণ্ঠ/এআই