Image description

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘মব’ জাস্টিসের নামে দলটির নেতাকর্মীদের পিটিয়ে হত্যা বা আহত করা হচ্ছে। পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে অনেকের বাড়িঘর, চালানো হচ্ছে লুটপাট।

গত ৫ আগস্টের পর থেকে যেসব নেতাকর্মী নিহত বা আহত হয়েছেন, যাদের বাড়িঘর ভাঙচুর কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়েছে, সেসব নেতাদের তালিকা করবে আওয়ামী লীগ। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে বলেছি সারাদেশে অসংখ্য নেতাকর্মী ক্ষত-বিক্ষত হয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। সেই তালিকা আমাদের নেতাকর্মীরা প্রণয়ন করছেন। অনেকের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর তালিকা ও মামলা করার কথা বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, অভিযোগ আসছে থানা মামলা-জিডি নিচ্ছে না। যারা নেবেন তারা কোনো আগ্রহ বা প্রয়োজন দেখাচ্ছেন না। আমরা জিডি করা বা কোর্টের আশ্রয় নিতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরবো।

নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে হিসাব-পরিসংখ্যান থাকবে। সেই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে আমরা নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। দলের এ দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের কষ্ট ও দুঃখ আমরা শেয়ার করতে চাচ্ছি। মানসিকভাবে তাদের পাশে থাকতে চাচ্ছি। আমাদের আন্তরিকতা, ভালোবাসা, মায়া বা মমতা দিয়ে আমরা নেতাকর্মীদের আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা চালাচ্ছি।

সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ ‘মান্থলং স্টেট-স্পন্সরড প্রোগ্রাম টু ডিসিমেট আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক একটি ভিজুয়াল নথি তৈরি করেছে। সেই নথি জাতিসংঘ, দূতাবাস, হাইকমিশন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগের নেতা, সদস্য ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে চালানো সহিংস ঘটনা এবং দমন-পীড়নের সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে।

নথিতে বলা হয়, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বিরোধী দল, মত ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সমন্বিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধগুলো আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আপনারা গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি অনুধাবন করবেন এবং এসব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

নথিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো এবং হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি হত্যা ও বাসস্থান লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের দায়মুক্তি দেওয়ার তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে।

এদিকে, গত ৫ আগস্ট থেকে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে সব ধরনের তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে। দলীয় সব তথ্য ফেসবুক পেজ, ইউটিউব ও টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়ার বিষয়টিও জানানো হয়েছে। এরপর থেকে দলটির সব তথ্য অনলাইন মাধ্যমগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। সেখান থেকে নেতাকর্মীদের নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত সবাই তাদের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে নিকটস্থ সেনাক্যাম্পে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান।

পোস্টে বলা হয়, আমরা সারাদেশ থেকে খবর পেয়েছি যে, বেশিরভাগ থানাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরিও করতে দেওয়া হচ্ছে না। যেহেতু সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাই অপরাধীদের থামাতে এখন সেনাবাহিনীর কাছেই অভিযোগ দেওয়ার বিকল্প নেই। ক্ষতিগ্রস্ত সবাই, তাদের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ এবং সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে জমা দিন।

আরেক পোস্টে বলা হয়, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা থানায় লিখিত অভিযোগ আকারে জমা দেওয়ার জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হলো।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের তথ্য অনুসন্ধান দল এখন বাংলাদেশে। তারা ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করবে এবং গোপনীয়তা রক্ষা করবে।

অন্য এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, এই দুঃসময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দুস্থ কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো। তৃণমূলের প্রায় ৫০ হাজার কর্মী ই-মেইল ও মেসেজের মাধ্যমে তাদের করুণ অবস্থার কথা জানিয়েছেন। বিশেষ করে অনুরোধ করেছেন তাদের পরিবারগুলোকে বাঁচাতে। অনেকেই মামলা-হামলা ও গ্রেফতারের কারণে বাড়িতেও অবস্থান করতে পারছেন না। দেশে বা প্রবাসে থেকে যারা দুস্থ নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে চান, তারা ই-মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করবেন। আপনার কাছে আমরা তথ্য সরবরাহ করবো।

অসহায় কর্মীদের যারা সহায়তা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এক পোস্টে বলা হয়, দেশে বা প্রবাসে থেকে যারা নিজ নিজ এলাকার কর্মীদের সহযোগিতা করছেন, তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা এখন থেকে পাবলিক প্ল্যাটফর্মে কারো ব্যক্তিগত ফোন নম্বর বা অন্য যেকোনো পরিচিতি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকবো।

আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি জরুরি নির্দেশনা জানিয়ে আরো বলা হয়, আপনার বা আপনার পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিবরণ লিখে থানায় অভিযোগ দিন। অভিযোগ না নিতে চাইলে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন। যদি সাধারণ ডায়েরিও করতে না দেয়, আমরা জাতিসংঘের তদন্ত দলের কাছে দলীয়ভাবে অভিযোগ দেবো।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের এক কার্যনির্বাহী সদস্য বলেন, সারাদেশ থেকে অনলাইনে জুলাই ও আগস্ট মাস এবং চলতি সেপ্টেম্বর মাসেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, গণহত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি। এটি এখনো চলমান। জেলা, মহানগর, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায় থেকে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রতিটি জায়গায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। অথচ আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেওয়া হচ্ছে একাধিক মিথ্যা মামলা।

আওয়ামী লীগের এই দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের আরো বেশি ধৈর্য ও সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘মব’ জাস্টিসের নামে দলটির নেতাকর্মীদের পিটিয়ে হত্যা বা আহত করা হচ্ছে। পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে অনেকের বাড়িঘর, চালানো হচ্ছে লুটপাট।

গত ৫ আগস্টের পর থেকে যেসব নেতাকর্মী নিহত বা আহত হয়েছেন, যাদের বাড়িঘর ভাঙচুর কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়েছে, সেসব নেতাদের তালিকা করবে আওয়ামী লীগ। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে বলেছি সারাদেশে অসংখ্য নেতাকর্মী ক্ষত-বিক্ষত হয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। সেই তালিকা আমাদের নেতাকর্মীরা প্রণয়ন করছেন। অনেকের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর তালিকা ও মামলা করার কথা বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, অভিযোগ আসছে থানা মামলা-জিডি নিচ্ছে না। যারা নেবেন তারা কোনো আগ্রহ বা প্রয়োজন দেখাচ্ছেন না। আমরা জিডি করা বা কোর্টের আশ্রয় নিতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরবো।

নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে হিসাব-পরিসংখ্যান থাকবে। সেই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে আমরা নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। দলের এ দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের কষ্ট ও দুঃখ আমরা শেয়ার করতে চাচ্ছি। মানসিকভাবে তাদের পাশে থাকতে চাচ্ছি। আমাদের আন্তরিকতা, ভালোবাসা, মায়া বা মমতা দিয়ে আমরা নেতাকর্মীদের আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা চালাচ্ছি।

সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ ‘মান্থলং স্টেট-স্পন্সরড প্রোগ্রাম টু ডিসিমেট আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক একটি ভিজুয়াল নথি তৈরি করেছে। সেই নথি জাতিসংঘ, দূতাবাস, হাইকমিশন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগের নেতা, সদস্য ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে চালানো সহিংস ঘটনা এবং দমন-পীড়নের সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে।

নথিতে বলা হয়, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বিরোধী দল, মত ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সমন্বিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধগুলো আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আপনারা গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি অনুধাবন করবেন এবং এসব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

নথিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো এবং হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি হত্যা ও বাসস্থান লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের দায়মুক্তি দেওয়ার তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে।

এদিকে, গত ৫ আগস্ট থেকে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে সব ধরনের তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে। দলীয় সব তথ্য ফেসবুক পেজ, ইউটিউব ও টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়ার বিষয়টিও জানানো হয়েছে। এরপর থেকে দলটির সব তথ্য অনলাইন মাধ্যমগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। সেখান থেকে নেতাকর্মীদের নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত সবাই তাদের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে নিকটস্থ সেনাক্যাম্পে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান।

পোস্টে বলা হয়, আমরা সারাদেশ থেকে খবর পেয়েছি যে, বেশিরভাগ থানাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরিও করতে দেওয়া হচ্ছে না। যেহেতু সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাই অপরাধীদের থামাতে এখন সেনাবাহিনীর কাছেই অভিযোগ দেওয়ার বিকল্প নেই। ক্ষতিগ্রস্ত সবাই, তাদের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ এবং সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে জমা দিন।

আরেক পোস্টে বলা হয়, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা থানায় লিখিত অভিযোগ আকারে জমা দেওয়ার জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হলো।

অন্য এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, এই দুঃসময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দুস্থ কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো। তৃণমূলের প্রায় ৫০ হাজার কর্মী ই-মেইল ও মেসেজের মাধ্যমে তাদের করুণ অবস্থার কথা জানিয়েছেন। বিশেষ করে অনুরোধ করেছেন তাদের পরিবারগুলোকে বাঁচাতে। অনেকেই মামলা-হামলা ও গ্রেফতারের কারণে বাড়িতেও অবস্থান করতে পারছেন না। দেশে বা প্রবাসে থেকে যারা দুস্থ নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে চান, তারা ই-মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করবেন। আপনার কাছে আমরা তথ্য সরবরাহ করবো।

অসহায় কর্মীদের যারা সহায়তা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এক পোস্টে বলা হয়, দেশে বা প্রবাসে থেকে যারা নিজ নিজ এলাকার কর্মীদের সহযোগিতা করছেন, তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা এখন থেকে পাবলিক প্ল্যাটফর্মে কারো ব্যক্তিগত ফোন নম্বর বা অন্য যেকোনো পরিচিতি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকবো।


আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি জরুরি নির্দেশনা জানিয়ে আরো বলা হয়, আপনার বা আপনার পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিবরণ লিখে থানায় অভিযোগ দিন। অভিযোগ না নিতে চাইলে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন। যদি সাধারণ ডায়েরিও করতে না দেয়, আমরা জাতিসংঘের তদন্ত দলের কাছে দলীয়ভাবে অভিযোগ দেবো।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের এক কার্যনির্বাহী সদস্য বলেন, সারাদেশ থেকে অনলাইনে জুলাই ও আগস্ট মাস এবং চলতি সেপ্টেম্বর মাসেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, গণহত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি। এটি এখনো চলমান। জেলা, মহানগর, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায় থেকে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রতিটি জায়গায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। অথচ আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেওয়া হচ্ছে একাধিক মিথ্যা মামলা।

আওয়ামী লীগের এই দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের আরো বেশি ধৈর্য ও সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।