গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আগামীতে আমরা মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র গঠনে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। আমরা মনে করি গর্ভবতী মায়েদের গর্ভবতী হওয়া থেকে শুরু করে মানসম্মত খাবার সুষম খাদ্যে রাষ্ট্রকে একটি ভর্তুকি দেওয়া উচিত, যেন মেধাবী শিশুর দুনিয়াতে আগমন ঘটে। মেধাবী শিশুর জন্ম হলেই আগামীর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে গাজীপুর জেলা ও মহানগর শ্রমিক অধিকার পরিষদের উদ্যোগে কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ মাঠে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি শ্রমিক অধ্যুষত গাজীপুর, আশুলিয়া, সাভারসহ বিভিন্ন এলাকা অস্থির হয়ে উঠছে। আমরা পরিষ্কার করে বলি, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে গণঅধিকার পরিষদ লড়াই করেছে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে। ন্যূনতম মজুরি কিংবা জিনিসপত্রের দাম না কমা পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদ লড়াই করে যাবে। আগামীতেও শ্রমিকদের যেকোনো ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ে শ্রমিক অধিকার এবং গণঅধিকার পরিষদের আমরা অগ্রভাগে থাকব, শ্রমিক ভাইবোনদের আমরা এই কথাটুকু বলতে পারি।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না, সবেমাত্র দুই মাস হয়েছে ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থান করে একটি ফ্যাসিষ্ট শাসনের পদত্যাগ ঘটিয়েছে। এই ফ্যাসিবাদী শাসকরা গত দেড় দশকে অন্তত কয়েক হাজার পরিবারকে হাজার কোটি টাকার মালিক বানিয়েছে। তাই সরকার যেন সুন্দরভাবে দেশ চালাতে না পারে এবং বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে তারা। তাই তাদের চক্রান্ত সম্পর্কে সচেতন থেকে দেশকে স্থিতিশীল রাখতে হবে। দেশের অর্থনীতি চাকাকে সচল করার জন্য গার্মেন্টসসহ সব সেক্টরকে স্থিতিশীল রাখতে হবে।
নুরুল হক নুর বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি গার্মেন্টসের শ্রমিকদের জন্য নূন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকা অত্যান্ত যৌক্তিক দাবি। গার্মেন্টসসহ অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষরা ওভারটাইমের জন্য যে টাকা দাবি করছে তা যৌক্তিক দাবি। অতিরিক্ত কাজ করালে মানসম্মত নাস্তা দেওয়া যৌক্তিক দাবি।
বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে, অর্থ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর আসাদের সঞ্চালনায় জেলা মহানগর ও কেন্দ্রীয় নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মানবকণ্ঠ/এসআরএস
Comments