Image description

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ৩১ দফা সংস্কার বিএনপির একার সংস্কার নয়। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা প্রায় ৫০টি দল ৩১ দফা সংস্কারের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং যারা এখন সংস্কারের কথা বলছেন আমরা আপনাদের সহায়তা করবো। যে সংস্কারগুলোতে জাতীয় ঐক্যমত্য হবে, অতিসত্বর সেই সংস্কারগুলো করে দ্রুত নির্বাচনে যেতে হবে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রামের উলিপুরে শহীদ মিনার চত্বরে উপজেলার বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমির খসরু বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে সংস্কারগুলোতে আমরা সহায়তা করবো, আমরা আন্দোলন করা বিএনপিসহ ৫০ দল ঐক্যবদ্ধ থাকবো। এখন সংস্কার কী হয়, না হয় সেটা আমরা দেখবো।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, তারেক রহমান জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। সেই জাতীয় সরকার ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করবে। এখন সংস্কার কী হবে সেটা দেখবো, সহায়তা করবো; কিন্তু ৩১ দফা জাতীয় সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের নেতারা খুনের শিকার হয়েছেন। আমাদের নেতারা ব্যবসা হারিয়েছেন, বাড়ি-ঘরে থাকতে পারেন নাই। আমাদের নেতারা পুলিশের হেফাজতে নিহত হয়েছেন, জেলখানায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি দেখেছি আমাদের নেতারা কীভাবে জেলখানায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। ৬০ লাখের ওপরে বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাদের অধিকাল সময় কেটেছে কোর্টের মধ্যে। বিচারের জন্য আমাকেও অন্তত তিন-চার দিন সময় কাটাতে হয়েছে।

তিনি বলেন, এই আন্দোলনের সফলতা, শেখ হাসিনা পলায়নের পরবর্তী সময় থেকে এ পর্যন্ত যে আলোচনাগুলো হচ্ছে, আমরা সেগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাই না। আন্দোলন নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাই না। এ আন্দোলন স্বল্প মেয়াদি আন্দোলন ছিল। এর কৃতিত্ব আমরা বাংলাদেশের সবাইকে দিতে চাই। যদি এই আন্দোলনের কৃতিত্ব কেউ ছিনতাই করতে চান, তাহলে এর প্রতি তারা অসম্মান জানাবেন।

আমির খসরু আরও বলেন, দুই মাসে বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু গত ১৭ বছরে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী খুন-গুম হয়েছেন। আমাদের নেতারা ১৭ বছর বাড়ি ঘরে তাকাতে পারেননি, পালিয়ে বেড়ান। সংস্কারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো আরেকটা দৈত্য যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ক্ষমতার ভারসাম্য আনা হবে। ক্ষমতার বণ্টন হবে। দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকবে না।

জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাসভীর উল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি তারিক আবু আলা চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল হক রুবেলসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।