নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ড. ইউনূস আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বলছেন না। কিন্তু এমনভাবে কাজ করছেন, এমনিতেই আওয়ামী লীগ হারিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ এত অন্যায় করেছে যে, ভারতে আশ্রয় নিলেও ছাড় পাবে না। দমন-পীড়নের অভিযোগে যদি মিয়ানমারের প্রধান সেনাপতিকে আন্তর্জাতিক আদালতে ডাকা হয়, তবে শেখ হাসিনাকেও ডাকা হবে। আন্তর্জাতিক আদালত ডাকলে শেখ হাসিনাকে যেতেই হবে। তিনি তো আর মিয়ানমারের সেনাপতির থেকে কম মানুষ হত্যা করেননি। আওয়ামী লীগের ফিরে আসা আশঙ্কা খুবই কম।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রফেসর কে. আলী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ: যেভাবে বাংলাদেশ আগাচ্ছে এবং নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মান্না এসব কথা বলেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, যে বিএনপি এক সময় আওয়ামী লীগের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে, এখন তারা বলছে কোনো দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয়। এর অর্থ কী? আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পক্ষে নেই বিএনপি।
তিনি বলেন, ইসকন কী কোনো সংগঠন? এর কী অনুমোদন আছে? যেটার অনুমোদনই নেই, সেটাকে আবার নিষিদ্ধ করার কী আছে?
সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলবে মন্তব্য করে মান্না বলেন, কেউ বলছে আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন। কেউ বলছে আগে নির্বাচন। এসব কথার ভিত্তি নেই। ভোট হবে সংস্কারও হবে। ভোটও একটি সংস্কার। তবে সরকারকে মিনিমাম কিছু সংস্কার করতে হবে। পুলিশ বাহিনীতে সংস্কার জরুরি। সেনাবাহিনী দিয়ে কখনোই দেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ঠিক করা সম্ভব নয়। পুলিশ যতক্ষণ পর্যন্ত ঠিক না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচনে যাওয়াও সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আমরা শুধু ক্ষমতার জন্য লড়াই করছি না। সামগ্রিকভাবে দেশের একটা পরিবর্তন চাই। সেই পরিবর্তনের জন্যই সংস্কার চেয়ে আসছি। পরিবর্তনের জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হয়।
প্রফেসর ড. শেখ আকরাম আলীর সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক আবুল লতিফ মাসুম। আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ড. ফয়জুল হক।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments