গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আনু মোহাম্মদ বলেছেন, কোটা আন্দোলন সরকার পতন আন্দোলনে রূপান্তর হওয়ার কৃতিত্ব শেখ হাসিনার নিজেরই। তিনি ছাত্রদের সন্ত্রাসী বলে দমন করার চিন্তা করেছিলেন। ফলে সকল কৃতিত্ব আমি তাকেই দেব।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে অনুষ্ঠিত ‘গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কার : সম্ভাবনা ও সংকট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আনু মোহাম্মদ বলেন, ২০২৩ সালের নির্বাচনের পর দেশ পুরোপুরি হতাশাগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ঠিক মতো নির্বাচন দিলে তাদের দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হতো না। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমাদের সফলতা হলো স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে নির্যাতনের কারখানা বন্ধ হওয়া এবং আলোচনার সুযোগ তৈরি হওয়া। এখন যে সকল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন বর্ষে পড়াশোনা করছে, তাদের অনেকেরই এমন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সম্প্রতি ভারত ঘিরে উত্তেজনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা সব সময়ই ভারতীয় আগ্রাসনের মধ্যে ছিলাম। তবে বর্তমানে ভরতের পতাকার ওপর দিয়ে যারা হাঁটছে তারা বাংলাদেশের সব থেকে বেশি ক্ষতি করছে। কারণ তারা এগুলো দেখিয়ে আমাদের প্রশ্ন করে। তখন আমরা তো চাইলেও মিথ্যা বলতে পারি না। এই সময়টাতে যদি রামপাল বিদ্যুৎ, পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে কথা বলতো তাহলে ভালো হতো। এগুলো দ্বিপাক্ষিক আলোচনা নয় বরং আন্তর্জাতিক আদালতে নেওয়া উচিত।
আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে আরও আলোচনা করেন রাবির ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. গোলাম সারোয়ার ও ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী।
আলোচনা সভার প্রথমার্ধে ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের রাবির সমন্বয়ক মেহেদী মুন্না, ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক জান্নাতুন নাইম, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, মাদার বখস হল প্রতিনিধি মেহেদী সজীব, ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার, ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য সচিব ওয়াজেদ শিশির অভি, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক তারেক আশরাফ, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান মারুফ, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি শামীম ত্রিপুরা, রাষ্ট্রচিন্তা সংগঠক জয়ন্ত গায়েক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আদিত্য রায় রিপন।
Comments