অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে রাজনৈতিক দলগুলো - তথ্য উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আপনাদের (অন্তবর্তীকালীন সরকার) কথাবার্তা এবং আচরণ কেন হাসিনার মতো হবে? আপনারা অগ্রযাত্রাকে সহযোগিতা করবেন। সরকারের সমালোচনা করা মানে ব্যর্থতা নয়, এটিই গণতন্ত্রের রীতি।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে যাত্রাবাড়ীর নবী টাওয়ারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ড. ইউনূসের মতো সর্বজনীন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যখন দেশের গণতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ কুক্ষিগত করে রেখেছিল, খালেদা জিয়া যখন অত্যাচারিত হয়েছেন, তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশান্তরী করে রাখা হলো, বিনাদোষে বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে প্রেরণ করা হলো, গুম-খুনে মেতে উঠেছিল তখন তো তিনি একটি বিবৃতি জানিয়ে নিন্দা জানাননি। অথচ আপনার প্রতি যখন অন্যায় হয়েছে বিএনপি কিন্তু ঠিকই তখন প্রতিবাদ করেছে। ইউনূস সাহেব সর্ব নন্দিত একজন ব্যক্তি। ক্ষুধা বিমোচন ও দারিদ্র্য দূরীকরণে যে ভূমিকা রেখেছেন তাতে আমরা গর্ববোধ করি। তবে, জাতিকে যখন আওয়ামী লীগ দাসে পরিণত করেছিল তখন জাতি প্রত্যাশা করেছিল ড. ইউনূস প্রতিবাদ জানাবেন, বিবৃতি দেবেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা এমন একটি দেশে বাস করছি যেখানে বাস করতে হলে পার্শ্ববর্তী দেশের অনুমতি নিয়ে বসবাস করতে হবে। তারা যাকে ক্ষমতায় আনতে চায় তাকেই মানতে হবে। ঐ সরকার যেভাবে এদেশ চালাবে সেভাবেই চলতে হবে। তাহলে পাক যুদ্ধ কেন হয়েছিল? পাকিস্তান ও তাদের মধ্যে তো কোনো পার্থক্য দেখছি না।
তিনি বলেন, আজকে পতিত স্বৈরশাসকের জন্য ভারত মায়াকান্না করছে। দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এই যাত্রাবাড়ীতে তো শত-শত মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এখানেই তো অনেক মন্দির আছে, সেখানে কোনও হামলা হয়েছে? কোনও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে? এসব ধূম্রজাল সৃষ্টি করে তারা গণধিকৃত আওয়ামী লীগকে আবার ফিরিয়ে আনতে চায়।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনে এখনও পতিত আওয়ামী স্বৈরশাসকের দোসর বিদ্যমান। তাই হত্যা মামলা নিয়ে গরিমসি করছে তারা। হত্যাকারীদের আটকের জন্য পুলিশ কঠিন হচ্ছে না। তাই পুলিশের নামে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ঢাকা ৫ আসনের সমন্বয়কারী নবী উল্লাহ নবীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম, মকবুল হোসেন টিপুসহ যাত্রাবাড়ীতে শহীদ পরিবারের পরিবারবর্গ।
সভাপতির বক্তব্যে নবী উল্লাহ নবী বলেন, হায়েনা সরকারের দলীয় ক্যাডার এবং পুলিশ বাহিনী যেভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে তার বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে। যারা এই সরকারের দোসর ছিল, লুটেরা ও খুনীদের ইন্ধন দিয়েছে তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
মানবকণ্ঠ/আরইচটি
Comments