Image description

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেছেন, সরকারি অফিসারদের অধিকাংশই পতিত সরকারের দোসর ছিল । এদের হাতে নির্বাচন ছেড়ে দিলে সঠিকভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা যাবে না। তাই আগে সংস্কার করে তারপর নির্বাচন দিতে হবে। তবে তা ন্যূনতম সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। শনিবার ( ২৮ ডিসেম্বর)  ফরিদগঞ্জ উপজেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, জনগণের আস্থা ধরে রাখতে নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা উচিত। তবে সংস্কারের নামে সময় ক্ষেপণ চলবে না।  ঐক্যবদ্ধভাবে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা আর অন্যায়ের প্রতিরোধ করতে হবে। এমন একটি সরকার নির্বাচিত করতে হবে যারা সুদের পরিবর্তে যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ইসলামী এবং আধুনিক শিক্ষার সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে।

আওয়ামীলীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। ২০১৪ সালে বিনা ভোটের সংসদ কায়েম করেছে। ২০১৮ সালে রাতের ভোট উপহার দিয়েছে। ২০২৪ সালের ডামি ভোটের সরকার গঠন করেছে। জামায়াত নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়ে তারা বাকশাল কায়েমের পথ ধরেছে। একটি দল যদি আরেকটি দলকে নিষিদ্ধ করে সেটা কি গণতন্ত্র নাকি স্বৈরতন্ত্র  তিনি এই প্রশ্ন রাখেন।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ ইউনুছের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা সেক্রেটারি সাখাওয়াত হোসেন ও পৌরসভা সেক্রেটারি ইমরান হোসাইনসহ অনেকে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

মানবকণ্ঠ/এসআর