গণ অধিকার পরিষদের (জিওপি) বংশাল থানার নতুন কমিটি ঘোষণা।শুক্রবার বিকাল ৪টায় বংশাল থানায় এই আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্ররা জীবন দিয়েছে, এখনো অনেক আহত সঠিক চিকিৎসা পাননি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের বিষয়ে সার্বিক দায়িত্ব জুলাই ফাউন্ডেশনের। কিন্তু জুলাই ফাউন্ডেশন সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না, বরং সেখানকার দায়িত্বশীলরা রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে ব্যস্ত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গতকাল দেখলাম উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি, যিনি হত্যা মামলার আসামি। অথচ তিনি নাকি পালিয়েছেন।
আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, তিনি পালাননি, তাকে পালাতে সহযোগিতা করেছেন সেখানকার পুলিশ সদস্যরা। হত্যা মামলার আসামি সাবেক ওসি পালানোর ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত।’
আবু হানিফ বলেন, ‘গতকাল নেত্রকোনায় দেখলাম এক এসআইকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা চলছে, এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন।’
আবু হানিফ আরো বলেন, ‘২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন না হলে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান হতো না। সেই ১৮ সালের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তরুণরা, একইভাবে ২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণরা। আমরা দেখেছি বাংলাদেশে তরুণদের বড় একটা অংশ রাজনীতি বিমুখ। তরুণ শিক্ষিতদের রাজনীতিতে আসতে হবে। তরুণরাই পারে দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন করতে।’
তিনি বলেন, ‘এই তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের নব্য দখলদারদের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। ২৪ সালে ছাত্র-জনতা শুধু ভোটের জন্য জীবন দেয়নি। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের জন্য জীবন দিয়েছে। এই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের যত সময় লাগে সংস্কারের জন্য, আমরা সেই সময় দিতে প্রস্তুত। কিন্তু সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ জনগণ মেনে নেবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘যদিও একটা রাজনৈতিক দল সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের বলব, আপনারা জনগণের পালস বোঝার চেষ্টা করুন, জনগণ কী চায়।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা তাদের মেরুদণ্ড সোজা করে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ভারতকে বুঝতে হবে তাদের নিয়ন্ত্রিত আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় নেই। সুতরাং, বাংলাদেশে আপনাদের দাদাগিরি আর চলবে না।’
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments