আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলা পুনঃ তদন্ত দাবি, মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলা ফের তদন্তের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। একই সঙ্গে এ মামলায় কারাবন্দি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিও জানানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় কারাবন্দি যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
নূরুল ইসলাম সরকার মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনটি রূপ নেয় বিশাল সমাবেশে। এক পর্যায়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, এই মামলায় নূরুল ইসলাম সরকারকে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে আহসানউল্লাহ মাস্টার খুন হন। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ এই হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন কায়সার, মহানগর বিএনপি নেতা বশির আহমেদ বাচ্চু, হুমায়ুন কবির রাজু, রাশেদুল ইসলাম কিরণ, ইসমাইল শিকদার বসু, শেখ মো. আলেক, নূর মোহাম্মদ, গাজীপুর মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক সাজেদুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন শাহীন, সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন ভাট, যুবদল নেতা সৌমিক সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গী নোয়াগাঁও স্কুল মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক সম্মেলনে কমিটি ঘোষণার পরপরই গুলিতে নিহত হন আহসান উল্লাহ মাস্টার। এ ঘটনায় আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই মতিউর রহমান মতি বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে সাবেক টঙ্গী থানায় একটি মামলা করেন মামলায় আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের আসামি করা হলেও তৎকালীন যুবদলের কেন্দ্রীয় শ্রম ও শিল্পবিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম সরকারসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের ৫ জনকে আসামি করা হয়।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments