ছাত্র-জনতার অভ্যুথানের সাড়ে পাঁচ মাস পর রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিকভাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চেয়েছি, গণঅভ্যুত্থানের পাঁচ মাস পরে ঘোষণাপত্র প্রণয়নের আদৌ কোনো দরকার আছে কি না?’
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দল যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিল এবং আমাদের সাথে ছিল, তাদের সবাইকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক যে কোনো বক্তব্য আমরা দিতে চাই। যে কোনো রকমের অনৈক্যের বীজ যেন আমাদের মধ্যে বপণ করতে না পারে কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ও ফ্যাসিবাদের দোসররা, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদেরকে আজ প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান করেছিলেন। আমরা এসেছি। আমাদের পরামর্শ যা দেওয়া দরকার রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য এবং বিভিন্ন বিষয়ে, যে সব মতামত আমাদের দেওয়া প্রয়োজন আমরা দিয়েছি।’
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ে কিছু নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে। বিভিন্ন পরামর্শমূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে। আমরা প্রশ্ন করেছি যে, সাড়ে ৫ মাস পরে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের কোনো প্রয়োজন ছিল কিনা। যদি থেকে থাকে, সেটার রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আইনি গুরুত্ব কি সেগুলো নির্ধারণ করতে হবে। যাতে এই ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে যাতে ফাটল সৃষ্টি না হয় সেদিকেও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটা যেন রাজনৈতিক দলিল, ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হয়, সেই দলিলটাকে অবশ্যই আমরা সম্মান করি। কিন্তু সেটা প্রণয়ন করতে গিয়ে যাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, পরামর্শ নেওয়া হয় সেদিকটা আমরা পরামর্শ দিয়েছি। সে বিষয়ে আমি প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সকল উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি। এ দিকে যেন তারা নজর রাখেন এবং সে হিসেবে পদক্ষেপ নেন। যাতে জাতীয় ঐক্যে যেনো কোনো রকম ফাটল তৈরি না হয়। আমাদের মধ্যে যাতে কোনো বিভ্রান্তি তৈরি না হয়। এগুলো আলাপ হয়েছে।’
নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ঘোষণাপত্র নিয়ে আমাদের নানা পরামর্শ দিয়েছি। বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলিল প্রণয়নের বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।’
Comments