Image description

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির থেকে বের হয়ে নতুন দল গঠনকারীদের শুভকামনা জানানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব আকরাম হুসাইন সিএফ। সোমবার ভোরে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির থেকে বের হয়ে নতুন দল গঠনকারীদের শুভকামনা জানানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব আকরাম হুসাইন সিএফ। সোমবার ভোরে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সোমবার ভোরে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন আকরাম হুসাইন।

তিনি ওই পোস্টে বলেন, জুলাই একটা বড় ইভেন্ট।

প্রতিটা বড় ইভেন্ট থেকে অনেক কিছু হয়। জুলাই থেকে অনেক কিছু হবে। ভালো-খারাপ সবই হবে। ভালোর সংখ্যা বেশি হলে জুলাই লাস্টিং করবে।

আগামীতে বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক স্ট্রাকচার দাঁড়াবে। দ্রুত পরিবর্তন ঘটবে দলগুলোর কাঠামোতে। এই পরিবর্তন যারা দ্রুত আনতে পারবে, তারা সবচেয়ে ভালো করবে।

আকরাম হুসাইন বলেন, শিবির থেকে বের হয়ে  নতুন দল যারা করবেন, তাদের প্রতি আমাদের শুভকামনা থাকবে।

নতুন দলটা শক্তিশালীভাবে দাঁড়াক সেটা আমি চাই। আমাদের থেকে সব সময় সহযোগিতা পাবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের নেতাকর্মীদের নতুন দলের নেতাকর্মীদের শুভকামনা জানানো উচিত।

গতকাল রাতে জুলাই আন্দোলনের সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ শক্তির নতুন প্ল্যাটফরম এপ্রিলে আসছে। নিজেকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ শক্তির নতুন প্ল্যাটফরমের প্রধান উদ্যোক্তা বলে দাবি করেন আলী আহসান জুনায়েদ।

অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনের এ উদ্যোগে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, জুলাই আন্দোলনের সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ রোববার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শক্তির নতুন প্ল্যাটফর্ম এপ্রিলে আসছে।

পোস্টে তিনি লেখেন, ৩৬ জুলাই ফতহে গণভবনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা হলেও, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বহু মানুষের কাছে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

পিলখানা, শাপলা ও জুলাই গণহত্যার মতো ভয়াবহ অপরাধের বিচার, ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ, দুর্নীতিমুক্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো নির্মাণ, ধর্মবিদ্বেষ ও ইসলামফোবিয়ামুক্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠন, ফ্যাসিবাদী কাঠামোর সম্পূর্ণ বিলোপ এবং আধিপত্যবাদের বিপক্ষে কার্যকর অবস্থান- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আজ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গৌণ হয়ে পড়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও সম্মান দেওয়ার কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে, আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা গণঅভ্যুত্থানের দাবিগুলো প্রকৃতই বাস্তবায়ন করতে চাই।

৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছে, তা পূর্ণতা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সমাজের সর্বস্তরে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিতকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার মূলোৎপাটন এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে এ বিপ্লব পরিপূর্ণতা পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

আমরা বিশ্বাস করি, নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সামাজিক চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুনর্গঠন সম্ভব।

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনের এ উদ্যোগে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই। আসুন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গঠনের এ সংগ্রামে শামিল হই।

পোস্টের শেষে নিজেকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শক্তির নতুন প্ল্যাটফর্মের প্রধান উদ্যোক্তা বলে দাবি করেন আলী আহসান জুনায়েদ।

মানবকণ্ঠ/আরআই