Image description

বরগুনায় ধর্ষণের শিকার ১১ বছরের সেই শিশুটির পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার(১৭ মার্চ) সকালে নির্যাতিতা শিশুর বাড়ি পরিদর্শন করেন তিনি। 

এসময় তিনি ঘোষণা দেন, নির্যাতিতা মেয়েটি ও তার ছোট বোন আড়াই মাসের শিশুর বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তার সমস্ত ভরণ-পোষণের দায়িত্ব জামায়াত নেবে। নিহত মন্টু দাসের তিন সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত পরিবারটির সম্পূর্ণ দায়িত্বও জামায়াত গ্রহণ করবে। এ সময় শিশুটিকে নির্যাতন ও তার বাবাকে হত্যার ঘটনার নিন্দাও জানান তিনি। পাশাপাশি কথা বলেন, শিশুটির মায়ের সাথেও।

জামায়াত আমির বলেন, শিশুর সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ লজ্জাজনক। তার বাবা শুধু ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রতিশোধ নিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।

তিনি আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মামলাটির দায়িত্ব নিয়েছেন এবং জামায়াতের নেতাকর্মীরাও আইনি সহায়তা দিতে প্রস্তুত। 

উল্লেখ গত ৪ মার্চ রাত ৮টার দিকে অপহরণের পর ধর্ষণের শিকার হয় ১১ বছরের ওই শিশু। ধর্ষণের ঘটনায় বাদী হয়ে পরদিন বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন তার বাবা। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি সারাদেশে আলোড়ন তৈরি করে।

এদিকে, সোমবার সকালে ভুক্তভোগীর বাড়ি পরিদর্শন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি।