
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ফলাফল নিয়ে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি দাবি করেছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি হারেননি, বরং তাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছিল। দীর্ঘ পাঁচ বছর আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা, ভ্যান ও অটোচালকদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।
২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরই ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেছিলেন, তার গাড়িবহরে হামলা, ইভিএম মেশিনে ভোট জালিয়াতি, ভোট গ্রহণে বাধা দেয়া এবং ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছিল। তবে, নির্বাচন কমিশন শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র ঘোষণা করে। এই নির্বাচনে ইশরাক হোসেনের পক্ষ থেকে মামলার আবেদন করা হয় ২০২০ সালের ৩ মার্চ। বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন এবং ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণা করেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘ পাঁচ বছর আইনি লড়াইয়ের পর ন্যায়বিচার পেয়েছি। তবে কিছু লোকেরা এই রায় সম্পর্কে ভুল ধারণা প্রকাশ করছেন। আমি তাদের জানাতে চাই, যে অভিযোগটি করা হয়েছিল তা নির্বাচনের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে করা হয়েছিল। আমাদের আইনি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল, তবে এখন তা পূর্ণাঙ্গভাবে বিবেচিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি যদি ন্যায়বিচারের জন্য অভিযুক্ত হয়ে থাকি, তাহলে জনগণই সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আমার উদ্দেশ্য ছিল আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ন্যায়বিচার পাওয়া।
সমালোচকদের উদ্দেশে ইশরাক বলেন, তারা ফোকাস করছে বিএনপির প্রার্থী মেয়র পদে যাচ্ছেন। আমরা যে একটি আইনি উদাহরণ ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেলাম, সেটার জন্য তাদের আমাদের ধন্যবাদ দেয়া উচিত ছিল এ কারণে যে একটা আইনের শাসন, এর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এটা হলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য, মূল লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, এই রায় আরও ৫ বছর আগে, ১৮০ দিনের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল। শেখ হাসিনার আমলে এই রায় দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘এখন আমি আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রায়টি পেয়েছি। রায় পাওয়ার পর গতকালও বলেছি এটা দলের সর্বোচ্চ ফোরাম সিদ্ধান্ত নেবে। সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সেই অনুযায়ী আমি আমার পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
ইশরাক হোসেন বলেন, আমার লক্ষ্য ছিল শুধু ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য কাজ করা। আমি হারিনি, আমাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছিল। অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং দলের অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments