লাইভে এসে জেলা বিএনপির সভাপতি চাইলেন ছাত্রদল নেতার বহিষ্কার

গাইবান্ধায় ফেসবুক লাইভে এসে এক উপজেলা ছাত্রদল নেতার বহিষ্কার চেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি। সোমবার রাতে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব পারভেজ সরকারের বহিষ্কার দাবি করেন।
জানা গেছে, মইনুল হাসান সাদিক নিজ এলাকা সাদুল্লাপুরে একটি অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে তিনি এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন। উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব পারভেজ সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ থাকলেও দলীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর এই জনরোষ সৃষ্টি হয়। সোমবার রাতে উপজেলার ঘেগার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে নিজস্ব ফেসবুক পেজে লাইভ করেন অধ্যাপক সাদিক।
ভিডিওতে ওই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব পারভেজ সরকারের অপকর্মে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়েছে। এ কারণে আমি কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রদল নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই মুহূর্তে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব পারভেজ সরকারকে দল থেকে বহিষ্কার কিংবা অব্যাহতিসহ পুনরায় উপজেলা ছাত্রদলের পুনর্গঠন দাবি করছি।’
উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছামছুল হাসান ছামছুল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে এর আগে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।’
সব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব পারভেজ সরকার বলেন, ‘স্থানীয় একটি মাজার ও ওয়াক্ফ স্টেটের মোতোয়ালি নিয়োগ নিয়ে স্থানীয় শহিদুল ইসলাম সরকার ও মইনুল প্রধানের মধ্যে বিবাদ চলছে। শহিদুল ইসলাম আমার চাচা হয়। এ কারণে মইনুল প্রধান ও তার লোকজন আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলে তার বহিষ্কারের দাবি তুলেছে।’
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া আলম জীম বলেন, ঘটনাটি শোনার পরই সাদুল্লাপুর উপজেলা সদস্যসচিব পারভেজ সরকার তিন সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments