হৃদরোগজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বলিউডের ‘মির্চি গার্ল’ খ্যাত মডেল ও অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস নাও’কে মুঠোফোনে রাখি সাওয়ান্ত বলেন, আমার হার্টে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমি এখন কথা বলার অবস্থায় নেই। আমাকে আগামী ৫-৬ দিন বিশ্রামে থাকতে হবে।
তবে রাখি মুম্বাইয়ের কোন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তা জানাননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এখন কোন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি, তা বলতে পারব না। দয়া করে আমাকে কিছুটা সময় দিন।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাখিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে অনলাইন দুনিয়ায় এই অভিনেত্রীর যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের বিছানায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় শুয়ে আছেন তিনি। একটি আঙুলে অক্সিমিটার এবং অন্য হাতে স্যালাইনের নল লাগানো।
রাখি শারীরিক অবস্থা সর্ম্পকে তার ভাই রাকেশ বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। সবাই জানেন, রাখি ব্রেন টিউমার ও ক্যানসারে ভুগছেন। এটি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। সে ক্রিটিকেয়ার এবং বালাজি হাসপাতালের ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিল। গতকাল তার শরীরের কিছু অর্গান এবং হার্ট ফেইলিওর হয়। আশা করছি, রাখি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
রাখি সব সময়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তার নানা বিতর্কীত কীর্তির জন্য। তাই হাসপাতালে রাখির ছবি দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন হয়তো এটাও রাখির খবরে থাকার ফন্দি। তবে জানা গিয়েছে, সত্যিই রাখি অসুস্থ।
গত বছরের জুলাই মাসে আদিলকে বিয়ে করেন রাখি সাওয়ান্ত। প্রেমিকের সঙ্গে সংসার শুরু করার জন্য মুসলিম ধর্মও গ্রহণ করেন রাখি। কিন্তু বছর না ঘুরিতেই আদিল ও রাখির সংসারে অশান্তি শুরু হয়।
বিনোদনভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাখি আদিলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন।
তিনি জানান, তার জন্য নয়, নিজের ইরানি প্রেমিকার জন্যই ছ’মাস জেলে ছিলেন আদিল। রাখির অভিযোগ, ভায়গ্রা জাতীয় ওষুধ খায় আদিল। যার প্রভাব চার ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। পুলিশও সেই ওষুধ পেয়েছে। ওষুধ খাওয়ার পর আদিলের অত্যাচার শুরু হতো। পায়ুকাম পর্যন্ত করেছে।
রাখির অভিযোগ, মধুচন্দ্রিমাতেও আদিলের বিকৃত কামের শিকার হয়েছেন তিনি। বাথরুমেও নাকি ছাড় পেতেন না তিনি। রাখি জানান, তার একাধিক নগ্ন ভিডিও আদিলের কাছে রয়েছে।
এরপরই আবার সাংবাদিককে মোবাইল দেখিয়ে রাখি বলেন, এই দেখুন ৪৭ লাখ টাকা ওর অ্যাকাউন্টে। এত্ত টাকায় নগ্ন ভিডিও বিক্রি করেছে আদিল। নিজের বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন রাখি।
এর আগে, আদিল বলেছিলেন, রাখির মতো মহিলাদের সঙ্গে কথা বলাও বিপজ্জনক। সংবিধানে নারী সুরক্ষার যে আইন রয়েছে তা ব্যবহার করে যা খুশি তাই করতে পারে।
মানবকণ্ঠ/এআই
Comments