Image description

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। গত দুই দিনের তুলনায় পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। এসব পেঁয়াজ নতুন শুল্ক ২০ শতাংশ দিয়েই আমদানি হচ্ছে। তবুও কমেনি পেঁয়াজের দাম। বরং আগের চেয়েও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

হিলি বাজার ঘুরে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ ধরে এই বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি দরে। বর্তমান কম শুল্কের পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি দরে।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর আগে ভারত থেকে ৪০ শতাংশ শুল্ক আর ৫৫০ ডলারে এই বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি হতো। তখনও পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। কিন্তু ২০% শুল্ক কমে এবং ১৪৫ টাকা ডলার দাম কমে গত বুধবার ভারত থেকে এই বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। ডলারের দাম এবং শুল্ক কমলেও, আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন আমদানিকারকরা।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ পাইকারি ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম বলেন, এক সপ্তাহ আগেও ৮৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। আজও ওই একই দামে বিক্রি করছি, বরং আগের চেয়ে আরও দাম বেশি চাচ্ছে আমদানিকারকরা। আমরা আশা করেছিলাম কম শুল্কের পেঁয়াজ এলে দাম অনেক কমে যাবে। আজ আমরা আমদানিকারকদের কাছ থেকে ৮২ টাকা করে প্রতি কেজি ক্রয় করে, তা ৮৫ টাকা কেজি হিসেবে পাইকারি বিক্রি করছি।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, দুই দিন আগেই শুনলাম পেঁয়াজের দাম কমেছে। যার জন্য বাজারে আজ পেঁয়াজ কিনতে আসলাম। এসে দেখি সব ধরনের পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে শুল্ক কমিয়েছে ভারত সরকার সেখানে তো পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে আসার কথা। কিন্তু বাজারে তার উল্টো চিত্র। প্রতিদিন যদি সব নিত্যপণ্যের দাম এভাবে বৃদ্ধি হয় তাহলে আমরা কীভাবে চলবো।

হিলি বন্দরে পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলেন, গত বুধবার ভারত থেকে আমরা ২০ শতাংশ শুল্কে আর ৪০৫ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করছি। ভারত সরকার শুল্ক কমিয়েছে এবং ডলারের দামও কমেছে। কিন্তু সেই হিসেবে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছি না। কেননা ভারতের মোকামগুলোতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে কম দামে আমরা পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছি না।

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি