Image description

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সংঘটিত সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, প্রাণহানী, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় যারা যুক্ত তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সাইফুল হক বলেন, গত দুই দিনের ঘটনায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীসহ তিন জেলার সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও আক্রান্ত হয়েছে। ভয় ও আতঙ্কে জনজীবন অচল পড়েছে। বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টিরও অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। পাহাড়ে সহিংসতা চলতে দিলে তা দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, পার্বত্য তিন জেলার সংকটের কোনও সামরিক সমাধান নেই, রাজনৈতিকভাবেই সংকটের সমাধান করতে হবে। আগের সরকারগুলোর জোর-জবরদস্তি করে, দমন করে শাসন করার নীতি কৌশল এখন পরিবর্তন করতে হবে।

১১ ইনিংস পর ফিফটি শান্তর, তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ১৫৮/৪১১ ইনিংস পর ফিফটি শান্তর, তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ১৫৮/৪
তিনি বলেন, পার্বত্য তিন জেলার পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ও বাঙালিদের মধ্যকার অবিশ্বাস, অনাস্থা, অস্থিরতা ও বিরোধের রাজনৈতিক সমাধান বের করতে হবে। ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তি পাহাড়ে শান্তি আনতে পারেনি। গোটা শান্তিচুক্তির পর্যালোচনাও জরুরি হয়ে পড়েছে।

তিনি অবিলম্বে পার্বত্য জেলাসমূহে সামরিক-বেসামরিক সকল ধরনের সহিংসতা বন্ধ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহের পুনর্বাসনেরও দাবি জানান।

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি