Image description

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে হলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবদুর রব হলের ৩২৪ নম্বর কক্ষে মারধরের ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর নাম হায়াত উল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

ভুক্তভোগীর সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত বুধবার আবাসিক হল থেকে শিক্ষার্থীদের জিনিসপত্র নিয়ে যেতে সময় বেঁধে নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে অনুযায়ী হল থেকে শিক্ষার্থীরা জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছেন। হায়াত হল থেকে তার জিনিসপত্র নিয়ে যেতে গতকাল ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। সকাল ৯টার দিকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তিনজন অপহরণ করে আবদুর রব হলে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি গিয়ে হায়াতকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়।

তাঁর সহপাঠীরা জানান, অপহরণ করা তিনজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তবে তাদের পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত নন। 

হায়াত উল্লাহ বলেন, সকালে হল থেকে আমার জিনিসপত্র নিতে এসেছিলাম। জিরো পয়েন্টে আমার কিছু বন্ধুর সঙ্গে দেখা করি। পরে তিনজন এসে আমাকে আবদুর রব হলের দিকে নিয়ে যায়। আমি বুঝতে পারিনি তারা কী উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে। পরে ৩২৪ নম্বর কক্ষে এনে আমাকে জিজ্ঞেস করে, কীভাবে হলে উঠেছিলাম। পরে তারা আমাকে লাঠি দিয়ে প্রায় ১০ মিনিট ধরে মারধর করে। কিছুক্ষণ পর প্রক্টরিয়াল বডির কয়েক শিক্ষক আসেন। তারা আমার ওপর আক্রমণকারীদের দেখেছেন।

হায়াত জানান, এ বিষয়ে তাঁর সহপাঠীরা প্রক্টরিয়াল বডির কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তিনি এ ঘটনার বিচার চান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক কর্মকর্তা সাইদা আকতার বলেন, ভুক্তভোগীর শরীরে আঘাতের কারণে রক্ত জমাট বেধেছিল। রক্তচাপও বেড়ে গিয়েছিল। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এক্স-রে ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

শহীদ আবদুর রব হলের প্রাধ্যক্ষ এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি প্রক্টরিয়াল বডির দায়িত্বে রয়েছে। তারা বিস্তারিত জেনে থাকবেন। হলে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় আমরা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।

প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে এ ঘটনার ন্যায় বিচার করা হবে।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস