Image description

ঢাকা নার্সিং কলেজে হোস্টেল দখলকে কেন্দ্র করে কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে পাঁচ শিক্ষার্থী। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহতরা হলো– বিএসসি ইন নার্সিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ও চূড়ান্ত বর্ষের নাঈমা জান্নাত এবং ডিপ্লোমা ইন মিড ওয়াইফাইরির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাম্মি, নিপুণ ও রাভিনা।

সংঘর্ষের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ কর্তৃপক্ষের সভা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে কর্মচারীদের হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই নার্স হোস্টেলটি আমাদের। নার্সিং কলেজে যারা চাকরি করে, তারা দীর্ঘদিন যাবত হোস্টেলটি দখল করে রেখেছে। এর আগে হাসপাতালের পরিচালকসহ সকলের সিদ্ধান্তে স্টাফদের (কর্মচারী) হোস্টেল ছাড়তে এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা একমাসের জায়গায় দেড় মাস হয়ে গেলেও হোস্টেলটি ছাড়েনি। আজ তাদের হোস্টেল ছাড়তে বলা হলে ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে গরম পানি পড়ে আমাদের ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নার্সিং কলেজের এক কর্মচারী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাবত নার্সিং কলেজের হোস্টেলে থাকি। কিন্তু এতদিন এই বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনা না হলেও গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে চলে যাওয়ার পর তারা এখন তাদের এই হোস্টেল দাবি করছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়া জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘক্ষণ নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থী ও স্টাফসহ মিটিং করেছি। এর আগে তাদের এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল হোস্টেল ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা ছাড়েনি। আজ তাদের আগামী ১৯ তারিখের মধ্যে উভয়পক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীরা থাকবে।’