Image description

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও আলোচিত বিএনপি নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে সৃষ্ট ধুম্রজাল কাটাতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে তার পরিবারের সদস্য ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তোলা হয় দেহাবশেষ।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাদ আসর খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীকে ‘মাহমুদুর রহমান’ পরিচয়ে কবরস্থ করা হয় ঢাকার সাভারের জামিয়া খাতামুন নাবিয়্যিন মাদরাসার কবরস্থানে।

অভিযোগ রয়েছে, সেই থেকে তৎকালীন সরকার মৃত্যুটিকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এটি হারিছ চৌধুরীর লাশ কি না তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়। সেই ধোঁয়াশা কাটাতে আদালতের শরণাপন্ন হন তারই মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন।

তিনি বলেন, বিদায়ী স্বৈরাচারী সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ একেকটা নাটক রচনা করে বাবার মৃত্যুকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমার বাবার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ থাকবে সন্তান হিসেবে এটা খুবই মর্মান্তিক, কষ্টদায়ক। এখনো মানুষ জিজ্ঞেস করে সত্যিই কি মারা গেছেন তিনি? আমাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তাই এটা শেষ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালত নিরাশ করেননি।

এদিকে সকালে পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ছুটে যান সাভারের জামিয়া খাতামুন নাবিয়্যিন মাদরাসার কবরস্থানে।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহমদ মুঈদ বলেন, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কবর থেকে তোলা হয় লাশ। এটি হারিছ চৌধুরীর কি না তা জানতে ডিএনএ করা হবে। এজন্য যা যা করণীয় তা এক্সপার্টরা করছেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নূর বলেন, আদালতের নির্দেশে সব কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। লাশটি তুলে ডিএনএ টেস্টে হারিছ চৌধুরীর প্রমাণিত হলে পরিবারের ইচ্ছায় কবর স্থানান্তর করা হবে। যেহেতু তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তাই তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানও জানানো হবে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক।