Image description

আবারো মূল্যসূচকের বড় পতন দেশের দুই শেয়ারবাজারে। বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক কমেছে ৪৯ পয়েন্টের বেশি। লেনদেন নেমেছে ৩০০ কোটি টাকার নিচে। কমেছে সিএসইর সূচক ও লেনদেন। তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, সংস্কারের পর বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। তাই, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

বুধবার দিনের শুরু থেকে ইতিবাচকই ছিল ঢাকার শেয়ারবাজার। প্রথম ১০ মিনিটে প্রধান সূচক বাড়ে ১৩ পয়েন্ট। এরপর শুরু হয় সূচকের পতন। দিনশেষে ডিএসইএক্স সূচক ৪৯ দশমিক সাত পাঁচ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেন নেমেছে ৩০০ কোটি টাকার নিচে। মোট লেনদেন হয় ২৯৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ২২ কোটি টাকা। 

হাতবদলে অংশ নেওয়া ৩৯৫ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর হারিয়েছে ৩০০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। কমেছে ৫৩টির, এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪২ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘যারা কারসাজির সাথে যুক্ত ছিল তারাও অনুপস্থিত মার্কেটে। ভেতরে এখন একটা স্বচ্ছতার জায়গা তৈরি হচ্ছে, এ কারণে মার্কেট একটা সংস্কার পজিশনেই আছে। আমি মনে করি এটা ভালো হবে, একটু সময়ের ব্যাপার।’ 

সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথম লাভেলো , দ্বিতীয় অগ্নি সিস্টেমস এবং তৃতীয় অবস্থানে ছিল টেকনো ড্রাগস। শতাংশের দিক থেকে দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম লিবরা ইনফিউশন, দ্বিতীয় সোনালী আঁশ এবং তৃতীয় অবস্থানে উসমানিয়া গ্লাস শিট।অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক কমেছে ৭৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস