Image description

শ্রমিক অসন্তোষ, গ্যাস সংকটসহ নানা সমস্যায় উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। কমিয়ে দিয়েছেন মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি। শিল্পে নতুন বিনিয়োগে সাহস পাচ্ছেন না অনেকে। অর্থনীতিবিদদের মতে, আওয়ামী লীগের আমলে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে বেশি সুবিধা দেয়ায়, নষ্ট হয়েছে ব্যবসার পরিবেশ। সে প্রভাব এখনও রয়ে গেছে।

টাকা ছাপিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যাংকে ধস ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলো আওয়ামী লীগ সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর, সেসব ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও চরম অস্থিরতা দেখা দেয়। প্রভাব পড়ে শিল্পেও। আগস্টের শেষ দিকে পোশাক কারখানায় শুরু হয় শ্রমিক অসন্তোষ। এতে স্থবিরতা তৈরি হয় উৎপাদনে। পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ডলার ও গ্যাস সংকট নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

এমন বাস্তবতায়, মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই-আগস্টে এই আমদানি, আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৩ দশমিক সাত-এক শতাংশ কমে গেছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র সহ–সভাপতি আব্দুল্লাহ হেল রাকিব বলেন, ‘আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যাটা সমাধান হোক। সরকার, মালিক, শ্রমিক, রাজনৈতিক দল সবাই মিলে যেন এক কাতারে কাজ করে সমাধানটা বের করে।’

আইবিএফবি’র সভাপতি হুমায়ুন রশিদ বলেন, ‘আগামী সংস্কারগুলো অ্যাড্রেস হতে হবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বেসড এবং নিড বেসড। এই জিনিসগুলো যদি আমরা অ্যাড্রেস করতে পারি তাহলে কিন্তু আজকের যারা ইনভেস্টর তারা কনফিডেন্স পাবে এবং ভবিষ্যতে যারা ইনভেস্টর হিসেবে আসবে এফডিআই হোক আর লোকাল ইনভেস্টরই হোক, তারা কিন্তু আরও কনফিডেন্স পাবে।’ 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিনিয়োগ সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলো, আগের সরকারের আমলে একটি গোষ্ঠীকে বেশি সুবিধা দিয়েছে। এতে যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব এখনও রয়ে গেছে। 

অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান বলেন, ‘গোষ্ঠীতন্ত্রের সুবিধার কারণে একটা বিশাল সংখ্যক যে বিনিয়োগকারীরা, তারা কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নতির জন্য নজর দিতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শুরু করে ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি এবং অন্যান্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তাদের উৎকর্ষ কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেটাও দেখতে হবে।’ 

বিনিয়োগ ও উৎপাদন বাড়াতে, ব্যবসা সহজ করার তাগিদ উদ্যোক্তারাদের। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিও পুরোপুরি স্বাভাবিক চান তারা।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস