Image description

ডিপফেক ভিডিও নিয়ে আলোচনাটা শুরু হয়েছিল দক্ষিণী অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানাকে দিয়ে। এরপর একে একে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, আলিয়া ভাট, ক্যাটরিনা কাইফ, কাজল ও সারা টেন্ডুলকারের ভিডিও সামনে আসে। সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে বহু নারী তারকার ডিপফেকের শিকারও হয়েছেন। এবার ডিপফেক রোধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ভারত সরকার। এই উদ্যোগের সঙ্গে থাকবেন রাশমিকা মান্দানা।

ভারতীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে প্রথম ডিপফেক ভিডিওর কবলে পড়েছিলেন রাশমিকা মন্দানা। সাইবার ক্রাইমের পাল্লায় পড়ে, অভিনেত্রীর অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদও করেছিলেন রাশমিকা। পাশে পেয়েছিলেন অমিতাভ, রজনীকান্ত, কারিনা কাপুরের মতো তারকাদের।

এবার রাশমিকা পেলেন নতুন দায়িত্ব। দেশ থেকে সাইবার ক্রাইম দূর করার জন্য সরকারের হয়ে প্রচারে নামবেন রাশমিকা। ‘পুষ্পা’, ‘অ্যানিম্যাল’ খ্যাত এই দক্ষিণী অভিনেত্রীকে সাইবার সিকিউরিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে বেছে নিল কেন্দ্রীয় সরকার।

২০১৭ সালে রেডইট সোশাল মিডিয়ার হাত ধরে প্রথম প্রকাশ্যে আসে এই ডিপফেক প্রযুক্তি। যেখানে একবারে পাল্পে ফেলা হয়েছিল গাল গোডো, টেলর শিফট, স্কারলেট জহনসানের। আর তারপর থেকেই গোটা দুনিয়ায় সারা ফেলে এই ডিফফেক।

প্রসঙ্গত, ডিপফেক যারা তৈরি করেন তারা টার্গেট করে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মকে। সেখান থেকেই মূলত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তারপর সেই তথ্য বিশ্লেষণ করতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সেই প্রযুক্তির সাহায্যে মুখের বৈশিষ্ট, অভিব্যক্তি, ভয়েস প্যাটার্ন এবং অন্যান্য ‘ইউনিক’ বৈশিষ্ট শনাক্ত করে এবং ম্যাপ তৈরি হয়। এভাবেই তৈরি হয় জাল বা বিকৃত ভিডিও বা ছবি।