Image description

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিশ্চুপ ছিলেন সাকিব আল হাসান। অনেক ক্রিকেটাররা ছাত্রদের পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেও পাশে ছিলেন না সাকিব। ওই সময়ে পরিবার নিয়ে কানাডায় অবকাশ যাপনে ছিলেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। তার স্ট্যাটাস না দেওয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে এখনও চলছে তুলকালাম। 

আগামীকাল সোমবার (২১ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে খেলার কথা ছিল সাকিবের। নানা নাটকীয়তার আর দেশেই ফিরতে পারেননি তিনি। বাদ পড়েন দল থেকে। কিন্তু  সাকিব না থেকেও যেন আছেন।দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে অফিসিয়াল প্রেস কনফারেন্সের বেশিরভাগ সময় জুড়েই ছিল সাকিব ইস্যু। 

সাকিবের বাদ পড়ার পর ক্রিকেটারের কোনো স্ট্যাটাস বা পাশে দাঁড়ানোর মতো ঘটনা চোখে পড়েনি। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জবাব দেন, ‘এরকম কোন কিছু না (ভয়ের কারণে ফেসবুকে পোস্ট দেননি কি না)। আগামী কাল একটা টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে। আমরা সবাই জানি এখানে উনি শেষ টেস্ট খেলতে পারলে খুব ভালো হতো। ফোকাসটা ওই জায়গায় আনা হয়েছে যেন আমরা টেস্ট ম্যাচটা জিততে পারি। যত কথা বলব এখন কোন কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আমরা সবাই জানি কেন উনি আসতে পারছে না। এখন বর্তমান সময়ে যেরকম অবস্থা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেই সব সমাধান হয়ে যায়। আমিও ভাবছি প্রতিদিন একটা করে স্ট্যাটাস দেব।' 

শান্ত আরও বলেন, 'ব্যাপারটা কীভাবে দেখছি আসলে...যেটা বললাম দুর্ভাগ্যজনক (সাকিবকে মিরপুরে বিদায় দিতে না পারা)। যেটা হওয়া উচিত ছিলো। আমরা সবাই জানি কেন হয়নি। এটা নিয়ে টেস্ট ম্যাচের আগের দিন কথা এগুতে চাই না।'