Image description

সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন গত ১৯ জুলাই আহাদুল ইসলামকে গুলি ও মারধরের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। ১৮০ জনকে আসামি করে গত ১৭ অক্টোবর খিলগাঁও থানায় মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের।

১৮০ জন আসামির মধ্যে এই মামলায় জেড আই খান পান্নাকে করা হয় ৯৪ নম্বর আসামি। আর এ নিয়ে অনেকটা হাস্যরসের সঙ্গেই গণমাধ্যমকে নিজের মতামত তুলে ধরেন বর্ষীয়ান এই আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘মামলা দিলে এক নম্বর আসামি করে দেবেন, ১৮০ জন আসামির মধ্যে ৯৪ নম্বরে কেন আমার নাম দিলেন? আমি এটা নিয়ে অসন্তুষ্ট।’

জেড আই খান পান্না বলেন, ‘১৯ জুলাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৭ অক্টোবর, এবং ১৮০ জনের মধ্যে আমি ৯৪ নম্বর।’

প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, আমি নাকি ১৯ জুলাই হত্যাচেষ্টা করেছি। কিন্তু তখন তো আমি কোটা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের সঙ্গে, তারাও ছিলো আমার সঙ্গে। আইন প্রাঙ্গণে আমি তখন তাদের জন্যে আইনি লড়াই লড়ছিলাম। কিন্তু সে সময় কিভাবে আমি মেরাদিয়া নামক জায়গায় গেলাম হত্যাচেষ্টা করলাম সেটা বুঝলাম না।

কি কারণে এই মামলা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা বোঝা যায় যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করার কারণে হত্যা মামলার আসামি করা হতে পারে। নাহলে কারও সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। এখন আইনি সমাধানেই যাবো।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই আহাদুলসহ অন্যরা মেরাদিয়া বাজারের কাছে বিক্ষোভ করছিলেন। তখন নাম না জানা বিজিবি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ অন্য আসামিদের নির্দেশে গুলি চালায়। এ সময় আহাদুল গুলিবিদ্ধ হন। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে থাকা আসামিরা তাকে মারধরও করে। মামলায় বিজিবির বর্তমান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীকেও আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউদ হোসেন বলেন, ‘আহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা মামলা নিয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে এর সত্যতা রয়েছে কিনা।’

সম্প্রতি ‘রিসেট বাটন’ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য এবং হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের নিয়ে সমালোচনা করেন জেড আই খান পান্না। তিনি জানান, এসব মামলার উদ্দেশ্য মানুষকে হয়রানি করা। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে।