Image description

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে আরাকান আর্মি এবং জান্তা সরকারের সশস্ত্র বাহিনীর চলমান সংঘাতে গোলাগুলির বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে কক্সবাজারের সীমান্ত জনপদ। এতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তে আবারও গোলাগুলি ও বোমার শব্দ শোনা গেছে। এ সময় মর্টারশেল ও বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে সীমান্ত এলাকার বাড়িঘর। এতে সীমান্তের বাসিন্দারা ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছেন।

রবিবার (২০ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত টানা মর্টারশেল ও বোমার শব্দে সারারাত ঘুমাতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় উখিয়া-টেকনাফের কিছু এলাকায় বিকট শব্দ শোনা যায়।

দুদিন বন্ধ থাকার পর টেকনাফ উপজেলা সদর, সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ, সেন্টমার্টিন, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এসব গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এপারের সীমান্ত এলাকার মানুষজন।

সাবারাং নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফারুক আহমেদ জানান, রবিবার মধ্যরাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত টানা মর্টার শেল ও বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। দুদিন আগেও মর্টারশেল ও বোমার শব্দে প্রায় ৫০ এর অধিক বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিয়েছিল।

টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হোসেন  বলেন, সোমবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত টানা মর্টার শেল ও বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে সীমান্তের বাড়িঘর। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে, উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমান পাড়া, রহমতের বিল ও ধামনখালী সীমান্তে রবিবার গভীর রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে। টানা মর্টার শেল ও বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে সীমান্তের এপার।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্তে দীর্ঘদিন গোলাগুলি বন্ধ থাকার পর হঠাৎ রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার ভোররাত পর্যন্ত সীমান্তের ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে। এ নিয়ে সীমান্তের বাংলাদেশি বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তে রাতভর গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। আমরা সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী মানুষদের খোঁজ-খবর রাখছি।