Image description

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন দাবি করে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। আওয়ামী লীগ বলছে, ‘বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও বিচার বিভাগের কোন স্বাধীনতা নেই। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ছিটে ফোটাও নেই। দেশটিকে তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) বর্বর মধ্যযুগে নিয়ে গেছে।’ 

সোমবার (২১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিবৃতিটি পোস্ট করা হয়।  

রবিবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠানে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রাজনীতি করার জন্য আর ফিরতে পারবেন না। শুধু ফাঁসির কাষ্ঠে দাঁড়ানোর জন্যই ফিরবেন।’ আওয়ামী লীগ থেকে বলা হয়, ‘এই ঘোষণা নগ্ন ভাবে এটি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশে আজ ন্যায়বিচার ও বিচার বিভাগের কোন স্বাধীনতা নেই। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ছিটে ফোটাও নেই। দেশটিকে তারা বর্বর মধ্যযুগে নিয়ে গেছে।’ 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে যে কোনো মূল্যে হত্যা করতে চায় বলে দাবি করে আওয়ামী লীগ।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে কাল্পনিক ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে গণহত্যার মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। এই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রহসন মূলকভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার যে নীলনকশা চূড়ান্ত করেছে, নাহিদ ইসলাম আজ প্রকাশ্যে সেটিই ঘোষণা করলো। বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন আওয়ামী লীগ এই নীলনকশাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে এবং তার বিচারের ভার দেশবাসী ও বিশ্ব বিবেকের নিকট রাখছে। 

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ থেকে বলা হয়, দেশের সরকারি বেসরকারি সকল গণমাধ্যমে সম্পূর্ণ 'ইনফরমেশন ব্ল্যাকআউট' চলছে। ৫ আগস্ট ও পরবর্তীতে সংঘঠিত গণহত্যাসহ অগ্নি সন্ত্রাস, নির্যাতন ও অন্যান্য অপরাধের কোনো খবর দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। একই অবস্থা এখনো চলমান। এ অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক গোষ্ঠী অখুশি হতে পারে-এ ধরনের কোনো তথ্য দেশের কোনো সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে না। 
দলটি থেকে বলা হয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন মূলক কর্মকাণ্ড এবং রাষ্ট্রীয় আইন ও পলিসি বিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের সিভিল প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধ্বংস করা হয়েছে। 

দেশপ্রেমিক সশস্ত্রবাহিনীকে ধ্বংস করার চক্রান্ত হচ্ছে। দেশকে জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করে জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছে। এই নিরাপত্তা ঝুঁকি কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, এই অবস্থা আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও গভীর সংকট তৈরি করছে।