Image description

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের গালে চপেটাঘাত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালে এ সংক্রান্ত রিভিউ আবেদন স্থগিত করায় তাঁকে নাজেহাল হতে হয়।তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী, এমপিদের চাপের মুখে দেশও ছাড়তে হয় তাঁকে।রোববার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।ফলে বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতা ফিরে পেয়েছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল।

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ষোড়শ সংশোধনীতে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পায় জাতীয় সংসদ। পরে ২০১৬ সালে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই সময় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা আপিল খারিজ করে দেন। গণতন্ত্র, রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, সুশাসন, দুর্নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেন তিনি।

এতে ক্ষুব্ধ হন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আইনজীবীরা। তাঁরা এস কে সিনহার পদত্যাগের দাবিও তোলেন। অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি। সেই থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তিনি।

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর রায়, যেটির কারণে আমি একজন রিফিউজি হিসেবে আছি, সেটি সেই সরকারের গালে চপেটাঘাতের মতো।’

সাবেক প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সরকার বলতে সরকার। আমরা বলেছিলাম, কর্তৃপক্ষ বলতে সুপ্রিম কোর্ট। এটাই আমাদের মধ্যে বিভেদ ছিল। এরপর পদায়ন, তাঁদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগসহ সবগুলো সুপ্রিম কোর্ট করবে। কিন্তু সরকার সেটি হতে দেয়নি।’ 

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বদলে যায় পরিস্থিতি। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ১৫ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়। অনিয়মের অভিযোগে তাঁদের বিচারের মুখোমুখিও করতে পারবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল।