Image description

৫ আগস্ট ২০২৪ এ ছাত্র-গণআন্দোলনের ফলে যে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে তা অভ‚তপূর্ব। দীর্ঘদিনের চেপে বসা স্বৈরাচারের জগদ্দল যে পাথর তার ভার সর্বসাধারণের কাছে ছিল অসহনীয়। সেই ভার বুকের ওপর থেকে সরে গেলে এদেশের অধিকাংশ মানুষ দুটো বিষয় খুব করে চাচ্ছে। এর একটি হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি আর দ্বিতীয়টি হলো- আর কোনোভাবেই যেন পূর্বের অবস্থায় আমরা ফিরে না যাই-সেটি। অনেক রক্তক্ষয়, অনেক তাজাপ্রাণের আত্মবিসর্জনের বিনিময়ে অর্জিত নতুন রাজনৈতিক বাতাবরণে আগামীদিনের জনআকাক্সক্ষা স্পষ্ট করেছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজে, উদ্যোগে মানুষ তাদের সেই সকল আকাক্সক্ষার বাস্তব প্রতিফলন দেখতে বলতে গেলে মুখিয়ে আছে।

মানুষ কী পরিবর্তন চাইছে 

মানুষ চাইছে-কার্যকর গণতন্ত্র, পরমতসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি, বাক্-স্বাধীনতা, নিশ্চিত আয়ের সংস্থান, বেকারত্বের ঊর্ধ্বহার রোধ, দ্রব্যমূল্য ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং সর্বোপরি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন উন্নয়ন সংস্কৃতি। এছাড়া আরও কিছু চাহিদা বিগত সময়ে উঠে এসেছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো- আইনের শাসন, প্রশাসনের সর্বস্তরে সুশাসন, জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও মানবিক মর্যাদা। 

ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষে প্রচারিত নানা চটকদারি মেগাপ্রকল্পভিত্তিক উন্নয়ন দেখিয়ে বাজিমাত? করতে চাইলেও উন্নয়ন বিষয়ে জনগণের যে প্রত্যাশা তথা ভালো শিক্ষা, ভালো স্বাস্থ্যব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা, আয়ের স্থায়িত্বশীল সমাধান ইত্যাদি কিন্তু অপূরণীয়ই থেকে গেছে। ফলে, যতটুকু পেরেছে মানুষ তার চাহিদা বা পরিবর্তন আকাক্সক্ষার কথা বলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কার্যকর গণতন্ত্র না থাকার কারণে সেটা শাসকদল তোয়াক্কা করেনি। বরং তারা এতোসব দাবি পূরণ করা সম্ভব নয় বলে মানুষকে বুঝিয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও যখন তার কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি মানুষ দেখে না, তখন শুধু গালভরা বুলি দিয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা কঠিন। বিগত দীর্ঘ বছরের বঞ্চনার মধ্য দিয়ে যাওয়া মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত হবে মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো পূরণে সচেষ্ট হওয়া। শুধু তাই নয়, অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন- ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সময়-সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা হাতছাড়া করার সুযোগ নেই। অনেকেই বলছেন-যদি এ বাস্তবতায়ও কাঙ্ক্ষিত সেই সকল উদ্যোগ নেয়া না যাায় তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের আরো কঠিন মাশুল দিতে হবে।

যাহোক, ইতোমধ্যে সরকার বিষয়বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বিষয়ভিত্তিক সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য ওই কমিশনগুলো গঠনের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে গত ১৭ অক্টোবর আরও চারটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঘোষিত দশটি কমিশন হলো- সংবিধান সংস্কার, নির্বাচনীব্যবস্থা, বিচারবিভাগ, শিক্ষা, শ্রমিক অধিকার, শিক্ষা, গণমাধ্যম, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কার্যক্রম। আলোচ্য ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনের বাইরে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ সরকার নিয়েছে।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য-এর নেতৃত্বে বিগত সরকারের নেয়া অর্থনৈতিক নীতিপলিসি ও আর্থ-রাজনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্যানুসন্ধান ও শ্বেতপত্র তৈরির দায়িত্ব পালন করবে। আলোচ্য জাতীয় কমিটি আলোচ্য সময়ে নেয়া উন্নয়ন পরিকল্পনা, মেগাপ্রকল্পসমূহে অর্থায়ন, বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ, মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আদায় ও অর্থনৈতিক নীতি-কাঠামো ইত্যাদি বিষয়ে তত্ত্বতালাশ করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে। এছাড়া, গুম ও নির্যাতন সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠিত হয়েছে, পতিত সরকারের সময়ে সংঘটিত গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, আয়নাঘরের মতো অমানবিক বর্বর নির্যাতনকাণ্ড তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরি করবে। যাহোক, গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম আগামী তিন মাসের মধ্যে যে প্রস্তাবনা তৈরি করবে আশা করি তাতে জনআকাক্সক্ষা প্রতিফলিত হবে। আর সরকার ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে মানুষ বিশ্বাস করতে চায়। জনআকাক্সক্ষার সাথে মিলিয়ে আমিও বিশ্বাস করতে চাই যে- প্রস্তাবনাভিত্তিক সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হলে- দীর্ঘপ্রলম্বিত বিভ্রান্তিকর উন্নয়ন অচলায়তন অনেকখানি ভাঙবে। কিন্তু আলোচিত ওইসব বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি ও বাস্তবায়ন হলেই কী আমাদের সব আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে?

অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কেমন হবে
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসমতা, সুশাসন, স্বাধীনতা, সক্ষমতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও বৈচিত্র্যতা-র স্বীকৃতি ইত্যাদি সবকিছুর সামঞ্জস্যপূর্ণ অগ্রগতিকে তো আমরা ‘উন্নয়ন ধারণা’ হিসেবে স্বীকার করি। একটি সমন্বিত পথ বা পদ্ধতি যা একটি প্রগতিশীল, স্থায়িত্বশীল, সমতাপূর্ণ ও সাম্য মর্যাদাপূর্ণ জীবনমান নিশ্চিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনের ভূমিকা কী হবে- সেটা আজকের বাস্তবতায় একটি মুখ্য আলোচ্য বিষয় হওয়া উচিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শুধু সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংগঠনের সংখ্যা ৬৩,২৩২টি। জুলাই ২০২২ পর্যন্ত এনজিও বিষয়ক ব্যুরো’র দেয়া তথ্য মতে এদেশে কর্মরত দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংগঠনের সংখ্যা যথাক্রমে ২৫০৫ ও ২৬৬টি। এই বিপুল পরিমাণ বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংগঠনগুলো পরিবর্তিত এ বাস্তবতায় ঐক্যবদ্ধ ও বিভিন্ন নেটওয়ার্ক/ফোরাম/অ্যালায়েন্স-এর মাধ্যমে কর্মরত সংস্কার কমিশনগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করতে পারে। সেখানে তারা রাজনৈতিক, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম, বিগত সরকারের সময় সংঘটিত নজিরবিহীন দুর্নীতির অনুসন্ধান সময়ের দাবিকে একনলেজ করে এখন বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও একটি সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরি হওয়া দরকার। সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট কমিউনিকেট করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এটি করার জন্য দেশে-বিদেশে অনেক যোগ্য মানুষ আছেন বলে আমি বিশ্বাস করি। দেশের অনেক এনজিও যারা জাতীয় পরিসরে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন, যারা দেশের সীমানা পেরিয়ে বৈশ্বিক পরিসরেও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনায় সুনাম অর্জন করেছেন। তারা এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারেন। কিন্তু সেই কাজের বা পরিবর্তন প্রস্তাবনার কাঠামো ঠিক কী হবে সে বিষয়ে দুটো কথা বলে এ আলোচনা শেষ করব।

এক. বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনগুলো কি প্রকল্প বাস্তবায়নের এনটিটি হিসেবে পরিচিত থাকবে নাকি তাদের সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন অ্যাপ্রোচ থাকবে সেটা এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়। কারণ, অর্থ ও ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ (দ্বি-পাক্ষিক, বহুপাক্ষিক বা প্রাতিষ্ঠানিক সংস্থা বা অথরিটি) তাদের স্বার্থে এদেশের বেসরকারি উন্নয়নে কর্মসূচি বা প্রোগ্রাম অ্যাপ্রোচ থেকে অনেক আগেই সরে গেছে। নতুন মিলেনিয়াম শুরুর পর থেকেই বলা যায় তারা ধীরে ধীরে এ থেকে সরে গেছে। ফলে, আজ প্রায় দুই দশকের ওপর এদেশে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনগুলো মূলত নানা ফরমায়েশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বা করতে বাধ্য হচ্ছে। হাজার হাজার বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন কাজের পরিসরে, দক্ষতায়, অভিজ্ঞতায় যে অবস্থান নিয়ে বর্তমান সেটা আরও কীভাবে কার্যকর শক্তিতে পরিণত হতে পারে সে বিষয়ে সরকারের দিক থেকে সুস্পষ্ট ওয়ে ফরওয়ার্ড থাকা দরকার। 

দুই. একটিভ যেসব বেসরকারি সংগঠন রয়েছে তার একটা বড় অংশ ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত। এর মধ্যে আবার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আছে যারা শুধুই ঋণদান কর্মসূচি চালিয়ে দিনাতিপাত করছে। সেখানে ঋণভিত্তিক বা ঋণ সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন কার্যক্রম আছে কিন্তু সেটা প্রত্যক্ষভাবে শুধু একসেস টু ফাউনেন্স-এ ভ‚মিকা রাখছে। কিন্তু যিনি ঋণ নিচ্ছেন বা ঋণ কাজে লাগিয়ে মুভ ফরোয়ার্ড করতে চাচ্ছেন তার সামাজিক ও লৈঙ্গিক পরিচয়, সামাজিক অবস্থান, শিক্ষাগত যোগ্যতা, রাজনৈতিক ক্ষমতাকাঠামোয় তার অবস্থান থাকা না থাকা ইত্যাদি তার ওই নিহিত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বাধার সৃষ্টি করছে। সেই সকল বাধা (যেমন-স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে ব্যবসায় উদ্যোগ গ্রহণ করতে না পারা, তার চলাচল চৌহদ্দির স্বল্পসীমা তথা রেসট্রিক্ট মবিলিটি, লৈঙ্গিক ভূমিকা ইত্যাদি) ঋণপ্রাপ্তি সত্ত্বেও তার জন্য যথেষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে ঋণদান সংগঠনগুলোর দক্ষতা, আউটরিচ ও ঋণপরিসরে যদি উন্নয়নের অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি কীভাবে সন্নিবেশন হবে সেই বিষয়টি সুরাহা হওয়া দরকার।

তিন. কমিউনিটি সেন্টারর্ড বা গণকেন্দ্রিক ও বটমআপ উন্নয়ন প্রক্রিয়া কীভাবে পুনঃসন্নিবেশিত হতে পারে সে বিষয়ে ঐকমত্য দরকার। যেমন-অর্থ পাওয়া সাপেক্ষে যদি আমরা শুধু প্রকল্প বাস্তবায়ন করি, তাহলে স্থানীয়ভাবে বিরাজমান সমস্যা, সমস্যার মূলকারণ চিহ্নিতকরণ ও সে মতো জনসম্পৃক্ত কার্যক্রম গ্রহণ সম্ভব হবে না। স্থানীয় নেতৃত্ব, নারী নেতৃত্ব এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু, পিছিয়ে রাখা জনগোষ্ঠী (আমি পিছিয়ে পড়া বলি না), সমাজে এখনো অচ্ছুৎ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব ও কার্যকর অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো উন্নয়নই স্থায়িত্বশীল হওয়া সম্ভব না। এজন্য করণীয় ও উপায় প্রস্তাবনা কাঠামোয় থাকা দরকার।

চার. এদেশের মানুষ, মাটি, আবহাওয়া, জলবায়ু, খাদ্যাভ্যাস, সম্পর্ক, সম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সংস্কৃতি, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, রিচুয়ালস ইত্যাদি বিবেচনায় উন্নয়ন ধারণায় দেশীয় ইনোভেশন ও ইন্ডিজিনাস নলেজকে ব্যবহার করার উপায় থাকতে হবে। তা না হলে ওই পশ্চিমা উন্নয়ন- সরাসরি ব্যবহারের ক্ষতি থেকে আমরা মুক্ত হতে পারবো না। এখন পর্যন্ত যতোগুলো উন্নয়ন অ্যাপ্রোচ, উন্নয়ন কৌশল, টুলস, টেকনিকস ব্যবহৃত হয়েছে তার সিংহভাগই আমদানিকৃত। যেমন-জেন্ডার, ক্লাইম্টে চেইঞ্জ, ইয়ূথ ডেভেলপমেন্ট, ইনক্লুসিভিটি, পিপলস সেন্টারর্ড ইনিশিয়েটিভস অথবা লোকাল রিসোর্স মবিলাইজেশন ইত্যাদি সবই আমরা ওই তাদের কাছ থেকেই নিয়েছি। এতে দোষের কিছু নেই, কিন্তু সমস্যা হয় তখন, যখন আমরা দেশীয় মেজাজ বুঝে সেগুলো কাস্টমাইজ বা টেইলর-মেড করতে না। ফলে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে শুরু করা প্রকল্পও মুখ-থুবড়ে পড়েছে। তার অর্থ হলো- এদেশের বেসরকারি উন্নয়ন প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত অর্জিত ফলাফল কিন্তু ‘রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড’ না। বেসরকারি উন্নয়ন ঘরানায় যে উন্নয়নকাহিনী বা সফলতার থোর-বড়ি-খাড়া আমরা হামেশা শুনি, সেগুলোর অধিকাংশই হয় ইমিডিয়েট নয়তো বড়জোর ইন্টারমিডিয়েট রেজাল্টস। বেসরকারি সংগঠনগুলো কীভাবে বিদ্যমান সম্পদ সীমাবদ্ধতার মধ্যে দূরবর্তী ফলাফলভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারে সে বিষয়ে কাঠামোগত আলোচনা ও ঐকমত্য দরকার। 

পাঁচ. উন্নয়ন কার্যকম পরিচালনা, রেজাল্ট-বেইসড উন্নয়নকে ফলিত পর্যায়ে নিতে এবং এর থেকে কাক্সিক্ষত ফলাফল অর্জনে আমাদের উন্নয়ন যোগাযোগ দক্ষতা, কমিউনিটির প্রয়োজন উপলব্ধি ও চাহিদা নিরূপণ, কমিউনিটিকে সংগঠিত করার কৌশল, নেতৃত্ব তৈরি, সাম্য ও সমতাভিত্তিক উন্নয়ন সুবিধা বা অংশগ্রহণ, অংশীজনের অংশগ্রহণ সুযোগ তৈরি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে স্থানীয়-আঞ্চলিক ও জাতীয় ক্ষমতাকাঠামোয় তাদের অংশগ্রহণ ইত্যাদি নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা দরকার। এজন্য একাডেমিক ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন কী হবে সেটাও প্রস্তাবনায় আসা উচিত।

লেখক: অধিকারভিত্তিক উন্নয়ন সন্ধানী