Image description

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগে সাংবিধানিক কোনো সমস্যা হবে কিনা তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

রিজওয়ানা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পদত্যাগের দাবি ও রাজনৈতিক দলগুলোর কথা মতো সাংবিধানিক কোনো সমস্যা হবে কি না তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ঐক্যমতে ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।’ 

অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সরকার গণঅভ্যুত্থানের সরকার, ফলে সংবিধানের সব কিছু মানা যাবে কি না তা সম্ভব হবে কি না তা ভাবতে হচ্ছে। এটিকে (রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ) রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছে সরকার। কতদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে তা নিশ্চিত নয়। তবে যেহেতু এটা গণ দাবি তাই সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই।’ 

একটি রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’‑এ প্রকাশিত রাষ্ট্রপতির একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গত সোমবার রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। পরে মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, আইন উপদেষ্টার এ বক্তব্যই সরকারের বক্তব্য।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়টি বুধবারও দিনভর আলোচনায় ছিল। বিএনপির জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা বলতে পারি, এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা অন্য কোনো বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলে আপনারা জানতে পারবেন।’

আবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানান, ‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁর পদে থাকবেন কি না সেটা আইনি নয়, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হবে।’ 

তবে এই মুহূর্তে রাজনীতির মাঠের সবচেয়ে বড় শক্তি বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, দলটি এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চায় না। 

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ শঙ্কা জানিয়ে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। এতে নির্বাচন বিলম্বিত হবে। তাই বিএনপি এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না।’