Image description

ফিলিপাইনে গ্রীষ্মকালীন ঝড় ‘ট্রামি’র আঘাতের ফলে সৃষ্টি হওয়া বন্যায় ৪০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উদ্ধারকর্মীরা আজ শুক্রবারও (২৫ অক্টোবর) বন্যার পানির সঙ্গে লড়াই করে বিভিন্ন ঘরবাড়ির ছাদে আশ্রয় নেওয়া মানুষকে বাঁচাতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

দ্বীপদেশ ফিলিপাইনের কোনো এলাকায় গত দুদিনে মুষলধারে যে বৃষ্টি হয়েছে তা দুমাসের সাধারণ বৃষ্টিপাতের চেয়েও বেশি। আর এ কারণে সৃষ্টি হওয়া আকস্মিক বন্যায় বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিকোল অঞ্চলের একজন পুলিশ কর্মকর্তা আন্দ্রে ডিজন এ প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘অনেক লোক তাদের বাড়ির ছাদে আটকা পড়েছেন এবং সাহায্য চাইছেন। আমরা আশা করছি বৃষ্টি কমে যাওয়ায় আজকের মধ্যে পানি অনেকটা নেমে যাবে।’

আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস বলেন, বিকোলসহ বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধারকর্মীদের পক্ষে সাহায্যপ্রার্থীদের কাছে পৌঁছানোটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রেসিডেন্ট মার্কোস বলেন, ‘অনেক এলাকায় ভূমিধস হচ্ছে যা আগে কখনও সেখানে হয়নি। আমার মনে হয় সব এলাকার মাটিই পুরোপুরি সিক্ত হয়ে গেছে, পানির নেমে যাওয়ার জায়গা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘নাগা এবং লাগাজপি শহর থেকে অনেক হতাহতের খবর আসছে কিন্তু আমরা সেখানে এখনও যেতে পারিনি।’

এদিকে আজ শুক্রবার সকালে ‘ট্রামি’ ফিলিপাইন থেকে পশ্চিমে সরে যায় দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে। এই ঝড়ে হতাহতের আরও খবর আসতে থাকায় ধারণা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।

রাজধানী ম্যানিলা থেকে দক্ষিণে বাতাঙ্গাস প্রদেশের পুলিশ সার্জেন্ট নেলসন কাবুসো জানান, তিনি সাম্পালক গ্রামে ছয়টি মৃতদেহ দেখতে পেয়েছেন। তিনি আরও জানান, গতকালের আকস্মিক বন্যায় তারা মারা গেছে এবং উদ্ধারকর্মীরা আরও মৃতদেহের সন্ধানে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।