Image description

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে বিএনপির মাইকিং করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ৯টায় গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারে বিএনপি নেতা রেদো সাহা ও আলম শাহা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করা হয়। পরে এদিন রাতে মো. নুর আলম সাহার ছেলে মো. সোহেল এবং তমিজ উদ উদ্দিনের ছেলে বুলবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারে তারেক রহমান নামে একটি ক্লাব আছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারেক রহমানের ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি মাইকিং বের করা হয় যার নেতৃত্ব দেন আখতারুল। তিনি গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলম গ্রুপের সদস্য। আখতারুল নিজেকে তারেক রহমান ক্লাবের সভাপতি দাবি করেন। পরবর্তীতে গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি রেদো সাহা বিষয়টি জানতে পেরে তার লোকজন পাঠিয়ে সেই মাইকিংয়ের মেমোরি কার্ড নিয়ে যান। 

কিছুক্ষণ পর আবারও আক্তারুলের লোকজন মাইকিং বের করে। পরে রেদো সাহার লোকজন আবার এলে তাদের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি এবং এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আখতারুল গ্রুপের শ্রাবণ, রেদো সাহা গ্রুপের উৎপলের বুকে খুর মারেন। এতে উৎপল গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে আনা হয় পরবর্তীতে সেখান থেকে তাকে রংপুর নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে উৎপল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও সংঘর্ষে আহত হন রেদো শাহা গ্রুপের, হাসান, নুর মোহাম্মদ, বাপ্পি ও মিলটন এবং আলম শাহ গ্রুপের রাশেদ অন্তর।

এ ঘটনায় উৎপলের মা করুনা রানী বাদী হয়ে শুক্রবার সদর থানায় ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে এদিন রাতে সোহেল ও বুলবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি রেদো সাহা বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে গড়েয়া ইউনিয়নে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে উৎপলের মা বাদী হয়ে শুক্রবার সদর থানায় একটি মামলা করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এদিন রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছি।