Image description

জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার মোলামগাড়ী বাখড়া গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতের দল গরু, স্বর্ণালংকার, চাল ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাত দলের হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোর রাতে ওই উপজেলার মোলামগাড়ী বাখড়া গ্রামের দুদু ফকিরের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ডাকাতদের হামলায় আহতরা হলেন- গৃহকর্তা দুদু ফকির (৬৫), দুদু ফকিরের স্ত্রী রোকেয়া বিবি (৫৫), বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩৮) গোলাম মোস্তফার স্ত্রী রিফাত জাহান (৩৪), দুদুর ছোট ছেলে এরশাদুল ইসলাম (৪১) তার স্ত্রী মালা বেগম (২৭) গোলাম মোস্তফার মেয়ে মিম্মা আখতার (১৬) ও ছেলে রাহিফ (৮)। আহতদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা ও রোকেয়া বেগমকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মালা বেগমকে জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত প্রায় দুইটার দিকে ১৫ থেকে ২০ জনের ডাকাত তাদের বাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে প্রায় ৬ লাখ টাকা মূল্যের চারটি বিদেশি জাতের গরু, ৩ ভরি স্বর্ণালংকার, চাল, নগদ প্রায় ৩ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ওই বাড়িতে থাকা শিশু ও নারীরা চিৎকার ও কান্নাকাটি করলে ডাকাতরা রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে। এতে গৃহকর্তা, শিশু ও নারীসহ ৬ জন আহত হন। এ ঘটনায় কালাই থানায় মামলা হয়েছে।

গৃহকর্তার ছেলে এরশাদুল বলেন, তিনি বাড়ির পাশে ফসলি মাঠে গভীর নলকূপে রাতে পাহারা দেয়ার জন্য রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর ভোরের দিকে বাড়িতে এসে দেখতে পান বাড়ির সকলেই আহত। আর বাড়ির জিনিষপত্র তছনছ করে চাল, ডাল, স্বর্ণালংকার, ৫টি গরু ও নগদ অর্থ লুটপাট করে একজনকে ডাকাতরা ধরে নিয়ে গেছে। পরে মাঠের মধ্যে থেকে একটি গরু সড়কের পাশ থেকে ও বড় ভাই গোলাম মোস্তফাকে উদ্ধার করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, খরব পেয়ে পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ইতোমধ্যে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় ডাকাত চক্রকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।