Image description

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পুলিশের কাছ থেকে জোর করে সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। যদিও এ অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছেন।  শনিবার সকাল ১১ টায় পৌর শহরের রঘুনীলি-মঙ্গলবাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, তাড়াশ থানার আফিসার-ইন-চার্জ  (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে আসামীকে ধরার জন্য অভিযান পরিচালনা করছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাড়াশ পৌর শহরের শোলাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা মৃত: আব্দুল গণির ছেলে মো: ফিরোজ (৪০) নাটোরের জনৈক্য ব্যবসায়ীর নিকট বাঁকীতে মালামাল নিয়ে তাকে একটি ব্যাংকের চেক প্রদান করেন। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী চেকটি নগদায়ন করার জন্য জমা দিলে সেখানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় তার তহবিল অপর্যাপ্ত। নিরুপায় হয়ে ওই ব্যবসায়ী নাটোর  দেওয়ানী আদালতে তার পাওনা টাকার দাবিতে একটি এনআই এ্যাক্ট্রের মামলা করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে আসামীকে আট লাখ ৯৩ হাজার ৮৭০ টাকা অর্থদন্ড ও এক বছরের বিনাশ্রম সাজা প্রদান করেন। আসামী পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা জারি করেন।

ওয়ারেন্টভুক্ত ওই আসামীকে ধরতে তাড়াশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: মন্টু মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সকাল ১১ টায় রঘুনীলি-মঙ্গলবাড়িয়া বাজারে অভিযান চালায়। পুলিশ আসামীর পরিচয় নিশ্চিত হতে জীজ্ঞাসাবাদ করেন এবং ফিরোজ কে আটক করেন। এ সময় চা স্টলে বসে থাকা পৌর বিএনপির নেতা মো. ওমর আলী ও রঘুনিলী মঙ্গলবাড়িয়া বিজ্ঞান কৃষি ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী মো: জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ জনতা বেআইনীভাবে পুলিশের কাজে বাধা দেন। মানবঢাল তৈরি করে আসামী ফিরোজ কে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।

বিএনপি নেতা মো. ওমর আলী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শুধুমাত্র পুলিশের কাছে তাদের পরিচয় জানতে চেয়েছি। এরমধ্যে লোকজন জমায়েত হলে আসামী ফিরোজ উলঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে আমাদের ভিডিও করে নিয়ে যায়। এখন শুনছি আমাদের কে আসামী ছিনতাই মামলায় আসামী করা হচ্ছে।

তাড়াশ পৌর বিএনপির আহবায়ক তপন গোস্বামী বলেন, ওরা বিএনপি করে কিন্তু তাদের দলীয় কোন পদ নেই। তবে ওমর আলী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি পদপ্রার্থী।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার আফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, আসামী ফিরোজ কে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।