সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের ১৩০ নেতা–কর্মীর নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিরল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বিরল পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি ইসকান্দার আলী।
মামলায় আসামি করা হয়েছে বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান সভাপতি, সাবেক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং পিএসসহ আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সংগঠনের অন্তত ১৩০ জন নেতা কর্মীকে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলার ১০নং রানীপুকুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে বিএনপির ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্পে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নির্দেশে বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও রানী পুকুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান উচ্চ স্বরে মামলার বাবি ইসকান্দার মেম্বারের হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। কোন বিএনপি ও সাধারণ ভোটার ভোট দিতে আসবে না বলে হুমকি প্রদান করে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের ১৩০ জন নেতা-কর্মী লাঠি, লোহার রড, সামুরাই, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া দাঙ্গার উদ্দেশ্যে ভোট কেন্দ্রে তাণ্ডব সৃষ্টি করে।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয় অজ্ঞাত নামা আসামিগণ ভোটকেন্দ্র হতে বিএনপির পুরুষ পোলিং এজেন্টকে মারধর ও মহিলা পোলিং এজেন্টদের বিবস্ত্র করে শ্লীতাহানী করে। প্রতিবাদ করায় বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে জখম করে ককটেল ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভোট কেন্দ্রে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য দিনাজপুরে সাবেক নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নামে বেশ কয়েকটি মামলা হলেও নিজ সংসদীয় আসনে দ্বিতীয় মামলা এটি। এর আগে বোচগঞ্জে তাকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক।
Comments