Image description

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) চারুকলা বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের (৫২ তম) ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একই বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের (৫৩ ব্যাচের) একজন শিক্ষার্থীকে রাতভর র‍্যাগিয়ের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৬ নভেম্বর ) রাত ১ টার দিকে কাজী নজরুল ইসলাম হলের ৫১৬ নাম্বার কক্ষে র‍্যাগিয়ের এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট ও বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম এম শামিমুল হাসান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের ৫৩ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী।

অভিযুক্তরা হলেন- অ্যালফা কবির, পিয়াস, জিম, হাবিব এবং বিপ্লব। এরা সবাই চারুকলা বিভাগের ৫২ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী এছাড়াও তাদের সাথে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫২ ব্যাচের অপূর্ব নামের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ৬ নভেম্বর রাত ১ টার দিকে আমি এবং আমার বন্ধু সাইফুল কাদির হিজলকে ৫২ ব্যাচের  সিনিয়র ভাইয়েরা কাজী নজরুল ইসলাম হলের ৫১৬ নাম্বার কক্ষে ডেকে নিয়ে যান,এবং আমাদের সাথে ঐ রুমে আরো উপস্থিত ছিল চারুকলা ৫৩ ব্যাচের শিবনাথ, রুপম, লিংকন, সুমি,আরিফ, সাজিদ ও রকি আমরা রুমে ঢুকার সাথে সাথেই আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমাকে মুরগী বানায়, তারপর একটি পর্ণগ্রাফি জরিপ উচ্চস্বরে পাঠ করায়, এবং বিভিন্ন অশ্লীল আচরণ শুরু করে, সাজিদ ও রকিকে জানালার গ্রিলে ঝুলিয়ে রাখে। হিজল অসুস্থ থাকার পরও তাকে অবস্থান করানো হয়।

এটিই প্রথমবার নয় এছাড়াও অক্টোবর মাসের ২৭ তারিখ রাত ২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত আমাকে ৫১৬ নাম্বার কক্ষে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন শারীরিক  নির্যাতন ও জোরপূর্বক গাঁজা সেবন করানো হয়, এমনকি সংশপ্তক ভাস্কর্যের মত এক পায়ের উপর দাড় করিয়ে নির্যাতন করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একে এম রাশিদুল আলম বলেন, "আমি এখনো অভিযোগপত্র পাইনি। অভিযোগপত্র পাওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নিবো। র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে আমাদের নীতি সবসময়ই এক। র‍্যাগিং এর অভিযোগ পেলেই আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সবসময়ই প্রস্তুত।

এ বিষয়ে চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো শামীম রেজা বলেন, "আমি মাত্র অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছি। আমি বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।"

মানবকণ্ঠ/এসআরএস