যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রথম নিয়োগেই চিফ অফ স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসকে বেছে নিলেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ট্রাম্প তাঁকে নিয়োগ দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ সাধারণত প্রতিটি প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নির্বাচনি প্রচারের সময় ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন সুসি ওয়াইলস।
হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফরা মূলত হোয়াইট হাউসের ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেন এবং প্রেসিডেন্টের কর্মীদের একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া কর্মীদের সমস্ত কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন তাঁরা। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফরা বিভিন্ন নীতিগত বিষয়ে প্রেসিডেন্টদের পরামর্শও দিয়ে থাকেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে সুসি একজন ‘ভয়ঙ্কর পরিচালক’ হিসেবে পরিচিত। এ ব্যাপারে গত এপ্রিলে পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুসি বলেছিলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে শিষ্টাচারের মতো বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অনেকেই মনে করেন, আমি খুব ভয়ঙ্কর ও কঠোর। আসলে তা নয়। আমি খুবই ভদ্র।’
১৯৮০ সালে রোনাল্ড রিগানের নির্বাচনি প্রচারশিবিরে কাজ করার মধ্য দিয়ে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সুসি। ২০১০ সালে তিনি ফ্লোরিডার গভর্নর হন। সুসি ওয়ইলস ২০১৫ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রাইমারির সময় ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর ফ্লোরিডা প্রচারণার সহ-সভাপতি হন।
Comments