Image description

নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকালে বাড়ির পাশে হত্যার হুমকি দেওয়া একটি চিরকুট পেয়েছিল শিশুটির পরিবার। শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা, বলছে পুলিশ।

মারা যাওয়া শিশুর নাম হামিদা খানম (৬)। সে কালিয়া উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের সাহানুর শেখের মেয়ে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে হামিদার মা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে ছিলেন। এ সময় মায়ের কাছ থেকে একটি আপেল হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে বের হয় হামিদা। পরে বিকেল চারটার দিকে তাকে খোঁজ করে বাড়ির লোকজন। কিন্তু আশপাশে কোথাও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন সকালের চিরকুটের বিষয়টি মনে পড়ায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ বাড়ে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ির উত্তর পাশে একটি ধানখেতের মধ্যে হামিদার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় রশি দিয়ে তার হাত বাঁধা এবং কচুরিপানা দিয়ে মরদেহের কিছু অংশ ঢাকা ছিল। পরে পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় লোকজন সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

হামিদার বাবা সাহানুর রহমান বলেন, বাড়ির পাশ থেকে পাওয়া একটি চিরকুটে তিনি ও তার ভাইয়ের সন্তানদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বুধবার রাতের কোনো এক সময় চিরকুটটি বাড়ির পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, “পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যারা হত্যার হুমকি দিয়েছিল, তারাই হামিদাকে হত্যা করেছে।” 

তবে কে বা কারা ‘শত্রু’ এবং কোথা থেকে পাঠিয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি সাহানুর।

এ ব্যাপারে নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। অতিদ্রুত ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

খাশিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বি এম বরকতউল্লাহ বলেন, পাকুড়িয়ায় হাত বাঁধা এক শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে, শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

মানবকণ্ঠ/এসআর