ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। ছাত্রলীগের সমর্থক হিসাবে ৫ অগাস্ট সরকার পতনের রাতেও রাহিমকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
নিহত মো. এমরান হোসেন রিফাত ওরফে রাহিম (১৯) দক্ষিণ কেতরাঙ্গা গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে। তিনি পরশুরাম সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম রনি একই গ্রামের হাবিব উল্যাহর ছেলে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার রফিকুল ইসলাম রনির সঙ্গে আবদুর রহিমের রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে রনির নেতৃত্বে কয়েকেজন আবদুর রহিমের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে আবদুর রহিমকে ছুরিকাঘাত করে রনি। পরে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের বরাতে পরশুরাম মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বলেন, একই গ্রামের হাবিব উল্যাহর ছেলে রফিকুল ইসলাম রনির সঙ্গে রাহিমের বিরোধ চলছিল। স্থানীয়দের দাবি রনি আগে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করলেও এখন নিজেকে ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়। রাতেই স্বজনরা তার মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাসেম ও স্বপন নামে দুই যুবককে আটক করেছে। রফিকুল ইসলাম রনিকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments