হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের ফলে বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে নিঃসন্দেহে অনেক প্রভাব পড়বে। এই প্রভাবের হাওয়া ভারত‑মার্কিন সম্পর্কের ওপর যেমন পড়বে, তেমনি ঢাকার বুকেও পড়বে বলে মনে করেন ভারতীয় মুক্ত সাংবাদিক প্রীতম রঞ্জন বোস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বিজনেস লাইনে আজ শুক্রবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে প্রীতম রঞ্জন বোস দাবি করেছেন, চীনকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন যে ‘বাংলাদেশ প্রকল্প’ চালাচ্ছিল, তা থেকে সরে আসতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ছাত্র‑জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ যে বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে পড়েছে, সেই প্রসঙ্গে এরই মধ্যে কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি তাঁর এক্স (টুইটার) হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আমার নজরে থাকলে এমন ঘটনা (বাংলাদেশে) কখনোই ঘটত না।’
ট্রাম্পের ওই টুইটের প্রসঙ্গ টেনে প্রীতম রঞ্জন লিখেছেন, মোদি সরকারের উচিত বাইডেন প্রশাসনের উদ্বেগ দূর করতে ট্রাম্পের প্রশাসনকে কাজে লাগানো। দিল্লির বোঝা উচিত, বাংলাদেশে আরও বিচক্ষণ অপারেশন দরকার ছিল।
যা হোক, যুক্তরাষ্ট্র ‘প্রকল্প’ শব্দটি ইউক্রেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করলেও বাংলাদেশে শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্যও এই শব্দ ব্যবহার করেছিল বলে জানিয়েছেন মার্কিন পলিসি বিশ্লেষক জেফরি শ্যাস।
বাংলাদেশে সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনের পর অর্থনীতিসহ আইন‑শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেভাবে অবনতি হয়েছে, তাতে অধ্যাপক ড. ইউনূস প্রশাসনের ওপর থেকে বিদেশি সমর্থন ক্রমশ সরে যাবে বলে দাবি করেছেন প্রীতম রঞ্জন। এমনকি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ‘কম হস্তক্ষেপকারী ভূমিকায়’ ফিরে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় এই মুক্ত সাংবাদিক।
প্রীতম রঞ্জন আরও লিখেছেন, বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নই ইউনূস সরকারের সামনে একমাত্র বিকল্প।
অন্যদিকে ভারতের জন্য বাংলাদেশে এখন সহজ বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেছেন প্রীতম রঞ্জন বোস। তিনি লিখেছেন, শেখ হাসিনা ও তাঁর দলের জনগণের আস্থা ফিরে পেতে আরও সময় লাগবে।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments