টিক টিক করে ঘড়ির কাঁটার মতো সময় এগিয়ে চলেছে গন্তব্যের দিকে। সে হিসেবে শেষের অপেক্ষায় আরও একটি বছর। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবলের হিসাব মেলাতে গেলে ভেসে উঠবে শুধু ব্যর্থতা। সুযোগ ছিল ঘরের মাঠে মালদ্বীপকে হারিয়ে শেষটা রাঙানোর। সেটাই করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে হারিয়েছে মালদ্বীপকে। যার ফলে জয় দিয়ে বছর শেষ করল হাভিয়ের কাবরেরা শিষ্যরা।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হয়ে মজিবুর রহমান জনি, পাপন সিং ও মালদ্বীপের হয়ে গোল করেন আলি ফাসির। আগামী বছরের মার্চের আগে আর কোনো খেলা নেই বাংলাদেশের। মার্চে সৌদি আরবে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে খেলবে বাংলাদেশ।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। তবে, ডানপ্রান্ত দিয়ে রাকিব ক্রস করলেও তা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি ফাহিম। পঞ্চম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর ইসা ফয়সালের ক্রসে ঠিকঠাক হেড করতে পারেননি রাকিব। ১৪তম মিনিটে প্রথমবারের মতো সংঘবদ্ধ আক্রমণ করে মালদ্বীপ। তবে, লাফিয়ে ওঠে তা প্রতিহত করেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিতুল মারমা। ১৯তম মিনিটে মালদ্বীপের আলি ফাসির জোরালো শট করেন। তবে, সেই শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
অবশ্য গোলের জন্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি মালদ্বীপকে। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে তপু বর্মণের ভুল পাসের সুবাদে বল পেয়ে যান আলি ফাসির। ডি-বক্সে ঢুকে গড়ানো শটে বল জালে জড়ান এই ফরোয়ার্ড। তার এই গোলেই ১-০ গোলে পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর ম্যাচের ৪০তম মিনিটে আরও একটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে, মালদ্বীপ গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে।
তবে, কে জানত নাটকীয়তার তখনও বাকি। ম্যাচের ৪৩তম তম মিনিটে ডি-বক্সের কিছুটা দূর থেকে অবিশ্বাস্য শটে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন মজিবুর রহমান জনি। তার গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এরপর আর কোনো গোল না হওয়ায় সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুদল।
বিরতি থেকে ফিরেই দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে পেয়েছিল এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। তবে, ভাগ্য সহায় হয়নি। রাকিবের গোল অভিমুখে করা শট লাফিয়ে ওঠে সেভ করেন মালদ্বীপ গোলরক্ষক হুসেইন শরীফ। ৫৩তম মিনিটে আলি ফাসিরের নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে বাংলাদেশকে ফের একবার রক্ষা করেন গোলরক্ষক মিতুল।
৮৪তম মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেন অভিষিক্ত পিয়াস আহমেদ নোভা। ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ তিনি। যার ফলে হতাশায় ডুবতে হয় সমর্থকদের। তবে, দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। সুবার সাব হয়ে মাঠে নেমে দলকে জেতালেন পাপন সিংহ। শাহরিয়ার ইমনের বাড়ানো বলে ডি-বক্সের ভেতর থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন পাপন। তার গোলেই জয়ের হাসি নিয়ে মাঠে ছাড়েন ফুটবলাররা।
Comments