গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে দুই গ্রুপের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাবেক প্রক্টরসহ ১৫ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রক্টর বডি বাতিল করে নতুন প্রক্টর বডিকে নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে। উপাচার্য বলছেন, শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করেছে, এটা ঠিক নয়।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মঙ্গলবার রাত ৮টায় এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
জানা গেছে, ড. কামরুজ্জামানকে প্রক্টর থেকে বাদ দিয়ে ড. আরিফুজ্জামান রাজিবকে প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে এক গ্রুপ শিক্ষার্থী নতুন নিয়োগ করা প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজিবকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা উল্লেখ করে তার নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে মিছিলটি ভিসির বাস ভবনের সামনে গেলে এর বিরোধিতাকারী অপর গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে সাবেক প্রক্টর ড. কামরুজ্জামানসহ ১৫ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীদের শান্ত করার জন্য উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোহেল হাসান ও নবনিযুক্ত প্রক্টরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোহেল হাসান বলেন, দেশে একটি পরিবর্তন অবস্থা বিরাজ করছে। তাই তোমাদের উচিত পরিবর্তনকে মেনে নেওয়া। আমাদেরকে তোমরা সহযোগিতা করো। তোমাদের পরিবর্তনকে সম্মান করা উচিত। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, এখানে আমার বিন্দুমাত্র লাভ নেই।
সাবেক প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান বলেন, এটি শিক্ষার্থীদের বিষয়, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ইটের আঘাতে আমি আহত হয়েছি। আহত শিক্ষার্থীদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, আরও তিন মাস থাকার পরও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে গতিশীল আনার লক্ষ্যে প্রক্টর বদল করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করেছে, এটা ঠিক নয়। তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
Comments