Image description

কয়েক দফা বৈঠকের পরও সুরাহা না হওয়ায় বেনাপোল থেকে ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টরা। শনিবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে এই পরিবহন চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

পরিবহন মালিকদের দাবি, যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে দূরপাল্লার বাসগুলো ছাড়তে চান তারা। অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস ছাড়তে। এ নিয়ে মূলত সমস্যার সূত্রপাত।

বেনাপোল বন্দরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে এক সপ্তাহ আগে যশোরের জেলা প্রশাসকের সাথে স্থানীয় সুধীসমাজ ও পরিবহন কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বেনাপোল চেকপোস্ট এবং বেনাপোল বাজার থেকে যেসব পরিবহন বা লোকাল বাস ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ছেড়ে যায়। সেসব বাস বেনাপোল বাজার থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে পৌর বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়তে হবে। 

পরিবহন মালিকদের দাবি, এতে করে রাতের বেলা যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। ছিনতাইসহ নানা হয়রানি শিকার হতে পারে যাত্রীরা।

পাসপোর্ট যাত্রী কুলসুম ও মেহেদী জানান, ঢাকা থেকে এসে বর্ডার থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে পৌর টার্মিনালে রাত ৩টার সময় তাদেরকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এতে তারা বেশ বিপাকে পড়েছেন। পরে ২-৩ ঘণ্টা একটি চায়ের দোকানে বসে সকালে ইজিবাইক নিয়ে বর্ডারে এসেছেন। পাসপোর্টধারী যাত্রীর কাছ থেকে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ পোর্ট ব্যবহারের জন্য ৬২ টাকা নেন। কিন্তু কোনো সেবা পান না তারা।

এ ব্যাপারে বেনাপোল পরিবহন সমিতির সভাপতি বাবলুর রহমান বাবু জানান, কয়েকদিন আগে যশোর জেলা প্রশাসকের সাথে বৈঠকে যানজটের কথা বলে সকল পরিবহন বাসগুলো চেকপোস্টের টার্মিনাল থেকে সরিয়ে নিয়ে ৪ কিলোমিটার দূরে পৌরবাস টার্মিনাল থেকে ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তে পথে বেশ কিছু যাত্রী হয়রানির শিকারও হয়। যাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ ধর্মঘট করছে।