রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ১১ জনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকেই মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
এর আগে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শত শত শিক্ষার্থী যাত্রাবাড়ীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় কলেজটির বিভিন্ন সামগ্রী ও সরঞ্জাম নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরে দুপুর ১টার দিকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা এবং শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ছাড়াও সংঘর্ষ ঘটে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় যাত্রাবাড়ী এলাকা। ওই ঘটনায় অনেকে আহত হলে তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ, র্যাবসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এদিন সকাল থেকেই পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকেন কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা যাত্রাবাড়ীর দিকে রওনা হয়। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে স্লোগান দিয়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর চালায় শিক্ষার্থীরা।
এর আগে রোববার ভুল চিকিৎসায় অভিজিৎ হাওলাদার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগের জের ধরে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এবং শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments